এসআইআর-এ ১ কোটিরও বেশি নাম বাদ যেতে পারে ভোটার লিস্ট থেকে:শুভেন্দু

IMG-20250809-WA0149

বাংলায় যে কোনও মুহূর্তে শুরু হতে পারে এসআইআর। নির্বাচন কমিশন এই প্রস্তুতি খতিয়েও দেখছে। এমনই এক প্রেক্ষিতে এই এসআইআর নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর ধারনা, সঠিক ভাবে এসআইআর হলে ১ কোটিরও বেশি নাম বাদ যেতে পারে ভোটার লিস্ট থেকে।
বৃহস্পতিবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘বিহারে সরকার সাহায্য করেছে। রাজনৈতিক দলগুলিও কাজ করেছে। ফলে সেখানে ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে এই এসআইআর। আর বাংলায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সন্ত্রাস চলছে। তা রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সন্ত্রাস। এখানে একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের লোককে লেলিয়ে দেওয়া হয় জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে খগেন মুর্মুর ওপর পর্যন্ত। আর সেখানে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা সব বিএলও-দের সঙ্গে থাকতে পারবে কি না এ আশঙ্কাও রয়েছে। বিএলও-রা নির্ভয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে, বিহারের মতো এসআইআর করতে পারবে কি না তারও আশঙ্কা আছে।’
এই এসআইআর-এ কত নাম বাদ যেতে পারে সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর ধারনা, ‘ সঠিক এসআইআর হলে গত ১০-১২ বছরে বাংলাদেশের মুসলমান যে ভাবে ঢুকেছে, কাঁটাতারের বেড়া না থাকার ফলে, তাতে ১ কোটির বেশি নাম বাদ যাওয়া উচিত। আমরা আশা করব ইলেকশন কমিশন এই চ্যালেঞ্জকে সামাল দিয়ে কাজ করবে।’ এর পাশাপাশি তিনি এও জানান এই সময় বিজেপি সারা বাংলাতেই কাজ করবে। সঙ্গে এও বলেন, ‘আমাদের মুসলিম বুথগুলিতে কর্মী নেই। কোথাও কর্মীরা প্রাণ দিয়ে দিক সেটা চাইব না। তার বাইরেও কী কী করা যায়, সেটা আমরা করব। এসআইআর চলাকালীন আমাদের দৃষ্টি থাকবে। আমাদের প্রায়োরিটি হবে এটা।’
এই বিষয়ে শুভেন্দু এও জানান, ‘আমাদের তো গ্যাপ নেই। শেষ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ২ কোটি ৭৫, ২ কোটি ৩৩। আমাদের সঙ্গে প্রাপ্ত ভোটের তফাৎ ৪২ লক্ষ। অর্থাৎ সোজা ভাষায় এসআইআর-এর ফায়দা যে বিজেপি ঘরে তুলবে, সেটাই বোঝালেন তিনি।
এর পাশাপাশি উত্তরঙ্গে সম্প্রতি খগেন মুর্মুর ঘটনা নিয়েও তিনি রাজ্য সরকারকে বিঁধতে ছাড়েননি। তাঁর মতে, এই সরকার কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি এখনও। ও দিকে ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যেও তৃণমূলের প্রতিনিধিরা নির্বিঘ্নে ঘুরতে পেরেছেন বলে মনে করিয়েও দেন এদিন। অর্থাৎ, এটা প্রমাণ করতে চাইলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি অনেকটাই এগিয়ে।
এসআইআর প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। তিনিও মনে করছেন, আদতে বহু নাম বাদ যাবে। মৃত ভোটার, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সহ অনেকের নাম বাদ যাবে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। আবার তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, এসআইআর-এ সবথেকে বেশি ক্ষতি হবে মতুয়া উদ্বাস্তুদের। বিজেপিতে যারা ভোট দেয় তাদের নাম বাদ যাবে। তাতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং আসন বাড়বে।
যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এসআইআর-এর কথা ঘোষণা করা হয়নি। তবে বৈঠক থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, দ্রুত সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে বাংলায়। ইতিমধ্যেই এই এসআইআর নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎসবের মরসুমে কীভাবে এত দ্রুত এসআইআর শুরু করা সম্ভব, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement