মালদা: পুজোর মুখে বড় সাফল্য। ব্যাংক ডাকাতির ছক বানচাল। গ্রেপ্তার বিহারের দুই দুষ্কৃতী।উদ্ধার জাল আধার কার্ড। জাল নাম্বার প্লেট সহ চুরির মোটর বাইক। আন্ত:রাজ্য অপরাধে যোগ ধৃতদের। শুরু হয়েছে তদন্ত। স্বস্তি এলাকাবাসীর। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় একটি রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংকে পাঁচ দুষ্কৃতী জড়ো হয়ে ছিল ব্যাংক ডাকাতির উদ্দেশ্যে। চলছিল রেকি। ব্যাংকে সেই সময় বহু মানুষ। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের অপরাধ দমন বাহিনী প্রত্যেক দিনের মতই এলাকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রাখতে বেরিয়ে ছিল টহলে। সেই বাহিনীতে ছিলেন কর্তব্যরত অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন। তারা ঐ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেও যান নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে। সেই সময় দুইজনকে ব্যাংকের মধ্যেই ব্যাগ কাঁধে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে। পুলিশ তাদের উপর নজর রাখে। তারপর ব্যাংকের বাইরেই একটি মোটর বাইক উদ্ধার হয়। যে মোটর বাইকের নাম্বার প্লেট দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়েছিল। চেক করতে গিয়ে দেখা যায় ভুয়ো নাম্বার প্লেট। বাইকের মালিকের খোঁজ করতেই জালে আসে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকা ওই দুই দুষ্কৃতী। তাদের তল্লাশি নেয় পুলিশ। উদ্ধার হয় জাল আধার কার্ড, মুখ ঢাকা দেওয়ার বিভিন্ন কাপড়, স্ক্রু ড্রাইভার থেকে শুরু করে একাধিক সরঞ্জামজেরাতে তারা ডাকাতির ছকের কথা স্বীকার করে। ধৃত দুই দুষ্কৃতীর নাম বিরু কুমার যাদব (২৮), সতীশ যাদব (৪০)। তাদের কাছ থেকে জানা যায় সেখানে আরো তিনজন ছিল। যারা পলাতক। পুলিশ আরো জানতে পারে ধৃতরা বহু রাজ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মে যুক্ত।ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে তারা আত্মগোপন করে থাকে।এই ঘটনা একটি বৃহত্তর পরিকল্পিত অপরাধচক্রের অংশ। তদন্তের অগ্রগতির জন্য ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এদিকে পুলিশের এই তৎপরতার ফলে একটি বড় ডাকাতির পরিকল্পনা বানচাল হয়েছে। যার জন্য পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।