লেখনী সাহিত্য পরিষদ ও নবদিগন্ত সাহিত্য বিনোদন পত্রিকার যৌথ আত্মপ্রকাশ

IMG-20250922-WA0090

বেবি চক্রবর্ত্তী

বাংলা সাহিত্যের অভাবনীয় ভাবনা সৃষ্টির পথে উৎসাহ প্রেরণা। কথায় আছে “ছোট ছোট বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল — গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল…”লেখনী সাহিত্য পরিষদ ও নবদিগন্ত সাহিত্য বিনোদন পত্রিকা প্রকাশ উপলক্ষে সুন্দর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। কলকাতা বিপ্লবী নলিনী গুহ সভাঘরে। সম্প্রতি এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এদিন এখানে উপস্থিত ছিলেন অনুরাধা দে, সুশান্ত ঘোষ, মুনমুন চক্রবর্তী, বরুণ চক্রবর্তী, রজনী কান্তি দাস, প্রসূন বিশ্বাস অমলেশ কুমার ঘোষ, ডঃ পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, দীপিকা হালদার, রীণা পাত্র হাজরা , এন সি আর টি বাংলা বিভাগের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা ড. রাহুল সাহানা, ড, পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, গবেষক ড. শৌভিক মুখার্জি, বিশ্বভারতীর ঝর্ণা দত্ত , তপন কুমার সাহা নৃত্য নাট্য পরিবেশনায় স্বর্ণাভ বাবুর কলানালন্দা ও রতন সাহার ঝংকার।
দুদিনে শতাধিক কবি কবিতা পরিবেশন করেছেন। শেষ বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক বরুণ চক্রবর্তী এবং জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে দুদিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠানের থিম সকলের কাছে পৌঁছে যাব আমরা বাঙালি- সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে মানবতার বার্তা নিয়ে। শেষে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অমলেশ বাবু মনে করেন- “তাঁর সমর্থনে হয়েছে – মানবিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে- কোনো ধরনের ভেদাভেদ সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে – তা অঙ্কুরেই সীমাবদ্ধ রেখে বিনাশের জন্য মানুষের মধ্যেকার মনোভাবকে জাগ্রত করা জরুরি- মাতৃ জাতিকে সম্মান দিয়ে। দেবী পক্ষে বাংলা ও বাঙালি ভাষা ও সংস্কৃতি মানবিকতার পথে এগিয়ে যাবে- তা উপলব্ধি করে সকল কবি সাহিত্যিক গবেষক সমাজ সংস্কারক এক বাক্যে মঞ্চে তুলে ধরেছেন দুই দিন ধরে। লেখনী সাহিত্য পরিষদের পরিচালক মন্ডলী কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।”
এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা অমলেশ কুমার ঘোষ সহ কবি-সাহিত্যিক- সাংবাদিক -গবেষকেরা। স্মরণিকা – লেখনী কলকাতা বইমেলা দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংকলন প্রকাশনা। এদিন অমলেশ বাবু মনে করেন ধৈর্য ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলার লক্ষ্যে সকল স্তরের মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে প্রায় তিনশো পাতা বা দুই শতাধিক কলম সংগ্রামীদের তিনশতাধিক লেখা পাঠকের মনে আলাদা স্থান করে নেবে। বাংলা সাহিত্যের জ্ঞানী -গুণী মানুষের কলমের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ের কথা প্রকাশিত হয় এই সৃজনশীলতায়। গত দুই দিন ধরে গানে, কবিতা -গল্পে গুণীজন সংবর্ধনায় অনুষ্ঠান এক অন্য মাত্রা পেয়েছিল। অবশ্যই প্রাণপুরুষ রজনীকান্তি দাসের ওপার বাংলা থেকে অনুষ্ঠানের প্রতি সদা সতর্ক দৃষ্টি ও এপার বাংলায় প্রধান উপদেষ্টা অমলেশ কুমার ঘোষের তত্ত্বাবধানে তা সম্ভব হয়েছিল। পাশাপাশি অন্যান্য এডমিন, উপদেষ্টা এবং মডারেটরদের ভূমিকাও ছিল যথাযথ।


সাহিত্য সমাজের দর্পণ। সংস্কৃতিতে তার প্রতিফলন। বই আত্মপ্রকাশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমরা সেটা দেখে থাকি। এছাড়াও বর্তমান প্রজন্মের কাছে বই পড়ার গুরুত্ব কমে গেছে। বাংলা সাহিত্যকে বুঝতে গেলে চিনতে গেলে ছাপার অক্ষরে বই ও বিভিন্ন পত্রিকা পড়া দরকার। তবেই সঠিক বোধে উন্নীত হওয়া যাবে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কৃত্রিম মনষ্ক হলেও মনের সীমিত ভাবনার উর্ধ্বে নয় বর্তমান সমাজ।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement