জাগো বাংলার অনুষ্ঠানে নস্ট্যালজিক মমতা

IMG-20250921-WA0132

পিতৃপক্ষের অবসান, শুরু হল দেবীপক্ষ। রবিবার বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহালয়ার সকাল শুরু হল বাঙালির। একইসঙ্গে এদিন কার্যত ঢাকে কাঠি পড়ে গেল, সূচনা হল উৎসবের। আর এমন পবিত্র দিনে দুর্গাপুজো নিয়ে নিজের গান প্রকাশ্যে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এক্স হ্যান্ডলের আগমনী গানের ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তিনি। ‘ধনধান্যে ভরে/মা এসেছেন ঘরে’ গানটি গেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রীর এই আগমনী গান শোনা যাবে বলে জানা গিয়েছে। দু’মিনিট চল্লিশ সেকেন্ডের সেই গান গেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। প্রসঙ্গত, পুজোয় মমতার গান নতুন নয়। হাজার কাজ সামলেও উদ্যোক্তাদের অনুরোধ মেনে তিনি আগমনি সঙ্গীত তৈরি করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। আর মহালয়া থেকে সেই গান সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে গেল।
রবিবারের এই অনুষ্ঠান থেকে মুখমন্ত্রী এইদিন বলেন, ‘সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজ থেকে সাড়ে চার বছর আগে দলের মুখপত্র দৈনিক প্রকাশ করা হয়। আজ মহালয়ার সঙ্গেই পুজো শুরু হয়ে গেল।’ এরপরেই খানিক নস্ট্যালজিক হয়েও পড়তে দেখা যায় তাঁকে। বলেন, ‘ছোটবেলায় পুজো চার দিন ছিল। এখন আমাদের সরকারের তৎপরতায়, পুজোর প্রসার ঘটেছে। মহালয়া থেকেই মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে ঠাকুর দেখতে।’ এর পাশাপাশি বিভিন্ন পুজোক্লাবগুলিকে যে সাহায্য করা হচ্ছে তাও জানান তিনি। বলেন, ‘ক্লাবগুলোকে আর্থিক সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। মায়ের কাছে প্রার্থনা অশুভ শক্তির বিনাশ হোক। জয় হোক বাঙালির, জয় হোক বাংলার। যারা বাংলাকে কলুষিত করে বলে গিয়েছিল বাংলায় দুর্গা পুজো হয় না। তখন তিন বছর আগে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয়।’
শুধু আর্থিক সাহায্যই নয়, বাংলার পুজোর ক্ষেত্রে এখন অধিকাংশই বিনামূল্যে করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবার সবটাই ফ্রিতে। শুধু ক্লাবগুলোকে আর্থিক সাহায্য নয়। যে সব শিল্পী এসেছেন তারা বাংলার গর্ব। গানের অ্যালবামের প্রতিটা কথা শুনুন।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বাংলার মানুষের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বার্তা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷
রবিবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘মহালয়া হল আলো অন্ধকারের জয়ের প্রতীক। এই পবিত্র দিনে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই সকলকে। দেবীপক্ষের সূচনালগ্নে মা দুর্গা আমাদের জীবনে সাহস, মমতা এবং আশার আলো জাগিয়ে তুলুন। এই উৎসবকাল হোক ঐক্যের শক্তি আর একসঙ্গে উদ্‌যাপনের আনন্দের প্রতীক।’ সঙ্গে এও লেখেন ‘জাগো দুর্গা, জাগো দশপ্রহরণধারিণী।’ তর্পণ, আবাহন ও আগমনের আবহে সকলকে মহালয়ার শুভেচ্ছা জানান তিনি।অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মহালয়া উপলক্ষে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘তর্পণে, আগমনে ও আবাহনে সকলকে জানাই মহালয়ার শুভকামনা।’
এর পাশাপাশি মহালয়ার দিনেই মুখ্যমন্ত্রী একাধিক পুজার উদ্বোধনও করেন। গত কয়েক বছর ধরেই মহালয়ার আগে বা ওই দিনেই শহরের নানা পুজো মণ্ডপের প্রদীপ জ্বালান তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অভিষেকের শুভেচ্ছা বার্তা, মুখ্যমন্ত্রীর নতুন গান এবং মুখপত্রের উৎসব সংখ্যার সূচনা – সবমিলিয়ে মহালয়ার প্রভাতে উৎসবের আমেজে রাজ্যের শাসকদল৷ শারদোৎসবকে ঘিরে সাধারণ মানুষ যেমন ভিড় জমাচ্ছেন মণ্ডপ ও বাজারে, তেমনই রাজনৈতিক মহলেও তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর আবহ।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement