ক্যাম্পাসে মাদক সেবন রোধে ঝোপঝাড় সাফের উদ্যোগ যাদবপুর কর্তৃপক্ষের

Jadavpur_University_Gate_No._4

তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের মৃত্যু ঘিরে উঠেছে একের পর এক প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ছাত্রদের গতিবিধি, এমনকি ক্যাম্পাসে মাদক সেবনের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও। আর তাই প্রেক্ষিতে যাদবপুর ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় সাফ করতে উদ্যোগী হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে থাকা ঝোপঝাড় ও আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ দিন ২২ সেপ্টেম্বর। এরপর শুরু হবে সাফাই অভিযান। কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট বক্তব্য, ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণা পরিষ্কার না করা পর্যন্ত থামা নয়। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানান, ‘ঝোপঝাড়ের আড়ালেই মদের আসর বসে বলে বহুবার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, ক্যাম্পাসে নিয়মিত মাদক সেবনের মতো ঘটনাও ঘটে। তাই এই সাফাই শুধু পরিচ্ছন্নতা নয়, নিরাপত্তার অঙ্গ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস লাগোয়া ঝিল থেকে উদ্ধার হয় অনামিকা মণ্ডলের দেহ। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং লটে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানেই মদ্যপান চলছিল কি না, তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। অনামিকার মৃত্যু ঘিরে শুধুই নয়, ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রদের নির্দ্বিধায় মাদক সেবনের অভিযোগে সরব হন প্রাক্তনী থেকে অভিভাবকদের বিরাট এক অংশ। 

এই ঘটনার পরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একাধিক পদক্ষেপে এগোচ্ছে। ঝোপঝাড় সাফ করার পাশাপাশি আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত হল ছাত্রদের উপর নজরদারি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে ২০ জন ছাত্রছাত্রীর উপর নজর রাখবেন একজন করে অধ্যাপক। তাঁদের আচরণ, মানসিক পরিস্থিতি এবং বিপথে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না— তা খতিয়ে দেখবেন সংশ্লিষ্ট প্রফেসররা। 

এদিকে, ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনার পরও সিসিটিভি বসানোতে আপত্তি রয়েছে যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশের। নজরদারি শব্দে তাঁদের আপত্তি। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, ‘সিসিটিভি নজরদারি মানেই ক্যাম্পাস সংস্কৃতির গলা টিপে ধরা।’ তাঁদের বক্তব্য, নজরদারির জন্য সিসিটিভি বসানো যাবে না। তা ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ। যদিও ছাত্রনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন বলেই মত অনেকের।যাদবপুরের গেট ছাড়া আর কোথাও সিসিটিভি নেই। এদিকে আবার যাদবপুরের পড়ুয়াদের জিবিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা না বলে সিসিটিভি লাগানো যাবে না। এরপর বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটেয় মিছিলের ডাক দিয়েছেন পড়ুয়ারা।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement