সপ্তর্ষি সিংহ
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আর মাত্র কয়েকমাস বাকি। তার আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দলকে নতুনভাবে সাজানোর কাজে নেমেছেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, দল গোছাতে পুরনো অভিজ্ঞ কর্মীদের ওপরেই ভরসা রাখতে চান তিনি। মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত সাংগঠনিক জেলা কমিটির তালিকাতেও সেটাই স্পষ্ট হয়েছে। একদিকে ঘর গুছোতে শুরু করেছে তৃণমূল। কিন্তু প্রতিপক্ষ বিজেপির রাজ্য কমিটি কবে গঠন হবে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। বিজেপি সূত্রে খবর দুর্গাপুজোর উদ্বোধন কর্মসূচিতে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। শাহ রাজ্যে পা রাখার আগেই নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়ে যাবে বঙ্গ বিজেপির। বিজেপি সূত্রে খবর, জেলা কমিটিতে বহু পুরনো বিজেপি মুখকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। নতুন ও পুরনোর মধ্যে একটা সমন্বয় রাখার চেষ্টা করেছেন শমীক। তবে বেশ কিছু জেলায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সেই অঙ্কে বোঝা যাচ্ছে,নতুন রাজ্য কমিটি কেমন হবে। বসে যাওয়া বহু পুরনো কর্মী ফিরবেন রাজ্য কমিটিতে, এমনটাই মনে করছেন বিজেপির কর্মীরা। সূত্রের খবর, শমীকের টিমে সভাপতির পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক। সেই সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তিনজনকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে শেষ মূহূর্তের খবর। বর্তমানে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দীপক বর্মণ, অগ্নিমিত্রা পাল এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। শেষ মুহূর্তে যদি কোনও সিদ্ধান্ত বদল না হয়, তাহলে এঁদের মধ্যে তিনজন নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন। দলীয় সূত্রের খবর, সংগঠনের পদ পাওয়ার তুলনায় ভোটে লড়ার আগ্রহই বেশি বেশিরভাগ বঙ্গ বিজেপির নেতা-কর্মীর। অনেকে চাইছেন, সংগঠনে থাকলেও ভোটে লড়তে দেওয়া হোক তাঁদের। সূত্রের দাবি, বর্তমান কমিটির একাধিক নেতাকে বড় দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। কারণ, তাঁদের অনেকেই আগামী বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের এই মতের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একমত প্রকাশ করেছে আরএসএস-ও। তাই নতুন কমিটিতে বাদ যাওয়া এবং ফিরে আসা নিয়ে দলের কর্মীরা এখন ব্যাস্ত তুমুল আলোচনায়। পুজোর পরই দশটি জেলা সভাপতি ফের বদল হতে চলেছে। যেহেতু সদ্য তারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।