শান্তি বজায় রাখার আহ্বান মমতার

IMG-20250909-WA0125

গণবিক্ষোভে উত্তাল নেপাল। ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভের মাঝে পড়শি দেশে সরকারের পতন ঘটেছে।কিন্তু নেপালের অশান্তি নিয়ে বেশি কিছু বলতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পড়শি দেশে যাতে শান্তি ফিরে আসে, সেটাই চান তিনি। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই ওঠে নেপালের প্রসঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রতিবেশী দেশ নেপালকে তিনি ভালবাসেন। কিন্তু সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে পারেন না। এ নিয়ে ভারত সরকার কিছু বললে তবেই তিনি বলতে পারেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময়ও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্র যা বলবে, তা-ই করবে রাজ্য। নেপালের প্রসঙ্গেও একই অবস্থান নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর কথায়, ‘‘নেপাল আমার দেশ নয়। বিদেশি রাষ্ট্র নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না। প্রতিবেশী দেশ বলে আমরা তাকে ভালবাসি। এখন ভারত সরকার আমাদের কিছু বললে তবে কিছু বলতে পারব।’’ তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে কোনও বার্তা আসেনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, শিলিগুড়ি, কালিম্পঙে নেপালের সঙ্গে বিস্তীর্ণ সীমান্ত রয়েছে। সেখানে শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘যে হেতু আমাদের ব্যাপার নয় , তারা তাদেরটা ঠিক করুক। আমাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। কেউ যাতে সমস্যায় জড়িয়ে না পড়েন, সেই অনুরোধ করব।’’ মমতা এর পরে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে শান্তিও কামনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি প্রতিবেশী ভাল থাকলে আমরা ভাল থাকি। শান্তি থাক, সকলে ভাল থাক। এটুকু বলার।’’ এর আগে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বলেছিলেন, ‘‘শান্ত থাকুন। উস্কানিমূলক কথা ছড়াবেন না।’’ সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘দেশে যে সরকার আছে তাদের উপর ছেড়ে দিন। আপনারা নিজেরা এমন কোনও মন্তব্য করবেন না যাতে কোনও হিংসা বা প্রতিরোধ শুরু হতে পারে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন, কিন্তু সেটা নিয়ে এমন কিছু লিখবেন না বা বলবেন না যাতে বাংলা বা ভারতের শান্তি নষ্ট হয়। এটা আমার সবার কাছে অনুরোধ। বিশেষ করে বিজেপি নেতাদের বলছি, কারণ আপনারা ইতিমধ্যেই নানা কিছু পোস্ট করছেন। যে পোস্টগুলো করা উচিত নয় বলেই আমি মনে করি। আমি আমাদের নেতাদেরও বলছি, কেউ কোনও পোস্ট করবেন না।’’
মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরবঙ্গে রওনা হওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এসআইআর নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা জানিয়েছেন, আধার কার্ডও এখন পরিচয়পত্র। যাঁর নেই, তিনি করিয়ে নেবেন। তাঁর কথায়, ‘‘এসআইআর প্রক্রিয়ায় তিন-চার বছর সময় লাগে। দু’-তিন মাসে তা হয় না।’’ সোমবার এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিহারে এসআইআরে ব্যক্তি পরিচয়ের প্রামাণ্য নথি হিসাবে আধার কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এই কথা উল্লেখ করে মমতা জানান, আধার কার্ডও এখন ‘আইডেন্টিটি’। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁদের আধার কার্ড নেই, তাঁরা করিয়ে নেবেন।’’ ভোটার এপিক কার্ডকেও এই নথি হিসেবে গণ্য করা হোক বলে জানিয়েছেন তিনি।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement