ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে ভাঙড়ের নাম সংবাদ শিরোনামে। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, তাঁর দাদা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন শওকত। আর এই প্রসঙ্গেই এবার বিস্ফোরক দাবি বিধায়ক নওশাদের। তিনি দাবি করলেন, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার অফার দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয় শাসকদলের পক্ষ থেকে।
সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন আইএসএফ বিধায়ক।পাশাপাশি নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘শওকত মোল্লা তাঁর বক্তব্যের এক জায়গায় বলেছেন, আমি নাকি বিজেপির কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা নিয়েছি। এই মর্মে আমার নামে মিথ্যাচার করছেন। পাবলিক ডোমেনে আমার সম্মানহানি করছেন। আমি তো শওকত মোল্লার এই কথার উত্তর তো ওঁনার ভাষায় দিতে পারি না। তাই আমি আইনি ভাষায় উত্তর দিচ্ছি। আইনের মাধ্যমে শওকত সাহেবের কাছ থেকে জানতে চাইছি। কবে কোথায় টাকা নিয়েছি, ৫০০ টাকার নোট নাকি ১০০০ টাকার নোট নিয়েছি, কার মাধ্যমে নিয়েছি, কোর্ট কেসে জানান।’ পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘যে যা খুশি বলে বেরিয়ে যাবেন, সেটা তো হতে পারে না। আমাকে ১৯টা মিথ্যা কেস দিয়েছে। সেটা মাথায় নিয়ে লড়াই চালাচ্ছি। অফার দিয়ে যখন আমাকে আটকাতে পারছে না, সামাজিকভাবে আমার মানসম্মান খারাপ করতে চাইছে। আমি স্বচ্ছ আছি, আত্মবিশ্বাস আছে, আইনের মাধ্যমে জবাব চাইছি।’
এই প্রসঙ্গে নওশাদ এ প্রশ্নও তোলেন, ‘বিজেপির যেখানে ৭৭টা বিধায়ক, কোনও সমস্যা নেই। পর্যবেক্ষক নেই। আইএসএফের একজন বিধায়কের জন্য কেন? আসলে আইএসএফের একজন বিধায়কই বুঝিয়ে দিচ্ছে, বিজেপি-তৃণমূলের সমঝোতাটা কোথায়। আমাকে প্রথমে অফার করেছে, প্রত্যাখান করেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিল, ৪২ দিন জেল খেটেছি। একবার ২৪ ঘণ্টা জেল খাটাল, তারপর যখন ওদের কাছে মাথানত করছি না, ওরা তখন সামাজিক মাধ্যমকেই আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চাইছে।’
একইসঙ্গে নওশাদের চ্যালেঞ্জ, এই টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তিনি লড়াই করবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যখন রাজনৈতিক লড়াইয়ে এঁটে উঠতে পারছে না তখন সামাজিক ভাবে অপদস্ত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেই জানান নওশাদ।