মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে আগেই সংঘাতে জড়াতে দেখা গিয়েছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপর চিফ হুইপ পদে ইস্তফা দেওয়ার পরেও মহুয়া মৈত্র ও দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদকে। কিন্তু অনেক দিন নীরব থাকার পর রবিবার আরও একবার দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দলীয় নেতাদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য যায় না।
কল্যাণের কথায়, ‘‘দিদি-অভিষেকের কাছে ফিল্টার হয়ে অনেক কথা যায়।’’ এদিনও দলের মহিলা সাংসদদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তৃণমূ। সাংসদ।
তাঁর অভিযোগ, সংসদে অনেক মহিলা সাংসদ নীরব থাকেন। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কেও নিশানা করেন কল্যাণ। কিছু দিন হল লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কল্যাণ। ওই পদ সামলাচ্ছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। অন্য দিকে, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উপদলনেত্রী শতাব্দী রায়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রমেশ বিধুড়ী মহুয়া সম্পর্কে যে বাজে বাজে কথা বলেছেন, সেগুলো গ্রহণযোগ্য না। এগুলো গ্রহণযোগ্যতার মধ্যে পড়েও না। কিন্তু ঠিক একই সময়ে সংসদে দাঁড়িয়ে রাজীব প্রতাপ রুডি মহুয়াকে সমর্থন করতে গিয়ে আমাকে থ্রেট করেছিলেন। সেখানে শতাব্দী রায় ‘ডেপুটি লিডার’ উপস্থিত ছিলেন।’’ কল্যাণের অভিযোগ, দলের সাংসদকে আক্রমণ করা হচ্ছে দেখেও তৃণমূল মহিলা সাংসদেরা চুপ করে থাকেন সংসদে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে যখন অ্যাটাক করা হচ্ছে, তখন তৃণমূলের মহিলামহল সব চুপ করে বসে থাকে। বিজেপি আক্রমণ করছে। কিন্তু তখন মহিলা এমপি-রা চুপ করে বসে থাকে। তখন দলের এমপিকে যে সমর্থন করতে হয়, সেটা তারা করে না। সে দিন এসপি-র এর পরেই কল্যাণ আর একটি দাবি করেছেন। তিনি জানান, এই সমস্ত তথ্য মমতা কিংবা অভিষেক পান না। বলা ভাল, তাঁদের কাছে যেতে দেওয়া হয় না। তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘দিদি আর অভিষেকের কাছে তো ফিল্টার হয়ে অনেক কথা যায়। সব কথা তো আর যায় না। এক জন ডেপুটি লিডার কী করে দাঁড়িয়ে দেখল যে তার দলের এক জন এমপি-কে রাজীব প্রতাপ রুডি ‘থ্রেট’ করছে?”