দিনহাটা: দিনহাটার সীমান্ত গ্রাম চৌধুরীহাট রামকৃষ্ণ আশ্রমে ভক্তদের দানেই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। এই পুজো মহকুমাবাসীর কাছে আলাদা অনুভূতি। কুমারী পুজোর প্রস্তুতির পাশাপাশি আশ্রমের পুজোকে ঘিরেও জোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। এ বছর আশ্রমের দুর্গাপুজোয় কুমারী রূপে পূজিতা হবে দিনহাটা শহরের বিদ্রোহী মোর এলাকার আর্যহী গোস্বামী। পুজোকে ঘিরে শুরু হয়েছে আর্যহীদের বাড়িতে নানা নিয়মকানুন। দিনহাটা শহরের একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে ইউকেজিতে পড়ে আর্যহী। মেয়ে কুমারী রূপে পুজোর জন্য বিবেচিত হতেই মা ভার্গভী চক্রবর্তী গোস্বামী ও বাবা সঞ্জয় গোস্বামী নানা নিয়মের মধ্য দিয়ে মেয়েকে আগলে রেখেছেন। অষ্টমীর সকালে নিয়ম মেনে মেয়েকে পুজোর আসনে দেখতে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন পরিবার।চৌধুরীহাটে রামকৃষ্ণ আশ্রমের পুজোয় প্রতিমায় যেমন নেই কোন বৈচিত্র তেমনি নেই বাহারি আলোকসজ্জা। পুজো উপলক্ষে রাজ্যের এবং রাজ্যের বাইরে থেকেও প্রতি বছর বহু মানুষ আসেন বলেও উদ্যোক্তাদের মন্দির কমিটির অধ্যক্ষ সেবানন্দ মহারাজ জানান। বিগত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে মন্দিরে পুজো হয়ে আসছে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে এই পুজো হয়ে থাকে। পুজোর বৈশিষ্ট্য পুজোর তিন দিন সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে চাল কুমড়া, শশা, আপেল, আখ, কাঁচা কলা প্রভৃতি বলি হয়ে থাকে। অষ্টমীতে কুমারী পুজো অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পুজোর চারদিন বিশেষ করে অষ্টমীতে কুমারী পুজোর পর কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। আশ্রমের অধ্যক্ষ সেবানন্দ মহারাজ জানিয়েছেন, সাত দশক আগে এক পুলিশ অফিসারের হাত ধরে দিনহাটার সীমান্ত এই গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় রামকৃষ্ণ আশ্রম। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে আশ্রমে কুমারী পুজো হয়ে আসছে।