লন্ডন: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আবারও ট্রান্সফার বাজারে রেকর্ড ভাঙার উৎসব। গ্রীষ্মকালীন উইন্ডো বন্ধ হতে এখনো এক সপ্তাহেরও বেশি বাকি থাকতে খরচ ছাড়িয়ে গেছে আগের মরশুমের রেকর্ড। সর্বশেষ এসি মিলান থেকে ১৮ মিলিয়ন পাউন্ডে নোয়া ওকাফোরকে দলে টেনেছে নবপ্রমোশন পাওয়া লিডস ইউনাইটেড। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের ট্রান্সফার খরচ ছাড়িয়েছে ২.৩৬ বিলিয়ন পাউন্ডের সীমা, যা ২০২৩ সালের গ্রীষ্মকালীন উইন্ডোর রেকর্ড ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চলমান উইন্ডোতে বড় অঙ্কের আরো কয়েকটি ট্রান্সফার সম্পন্ন হলে মোট খরচ ৩ বিলিয়ন পাউন্ড স্পর্শ করতে পারে। ছয়টি ক্লাব তাদের ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙেছে। সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে লিভারপুল (২৮৯ মিলিয়ন), চেলসি (২৪৬ মিলিয়ন), ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (২০৮ মিলিয়ন) এবং আর্সেনাল (১৯৪ মিলিয়ন)। তবে শুধু বড় ক্লাবই নয়, ছোট বাজেটের দলগুলোও রেকর্ড ভাঙছে। লিভারপুল বায়ার লেভারকুসেন থেকে ফ্লোরিয়ান ভার্টজকে দলে নিয়েছে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডে (সাথে আরও ১৬ মিলিয়ন অ্যাড-অন)। বার্নলি ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে লেসলি উগোচুকউকে দলে টেনে নিজেদের ইতিহাস বদলেছে। সান্ডারল্যান্ডও ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে হাবিব দিয়ারাকে কিনেছে। মোট ১৪২ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে তারা দল শক্তিশালী করেছে। টানা আট মরশুম প্রিমিয়ার লিগের বাইরে থাকার পরও সান্ডারল্যান্ড ইউরোপের অন্য সব লিগের ক্লাব ছাপিয়ে খরচ করেছে, ব্যতিক্রম শুধু স্পেনের অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদ। নটিংহ্যাম ফরেস্টও এই উইন্ডোতে দু’বার নিজেদের রেকর্ড ভেঙেছে। তারা প্রায় ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বোলোনিয়া থেকে সুইজারল্যান্ডের উইঙ্গার ড্যান এনদোয়ে এবং ইপসউইচ টাউন থেকে ওমারি হাচিনসনের সাইনিং। এই ট্রান্সফারে প্রিমিয়ার লিগের মোট খরচ ইতালির সিরি আ, জার্মানির বুন্দেসলিগা, ফ্রান্সের লিগ ১ ও স্পেনের লা লিগার মিলিত খরচের চেয়েও বেশি। এর পেছনে বড় কারণ সম্প্রচার চুক্তি।