সপ্তর্ষি সিংহ
পথকুকুরদের রাস্তা থেকে সরানো নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল শুনানি। এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকেই তুলোধনা করা হয়। পথকুকুর নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য। এই মামলায় আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত। দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে সকল পথকুকুরদের সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার বিষয়ে ১১ আগস্টের আদেশের ওপর স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের উপর বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট রায় সংরক্ষণ করেছে। বিচারপতি বিক্রম নাথ, সন্দীপ মেহতা এবং এনভি অঞ্জারিয়ার তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ১১ আগস্ট ভিন্ন বেঞ্চের আদেশের উপর একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করা হবে।রাস্তা থেকে পথকুকুরদের সরানোর বিষয়ে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন একটি পশুপ্রেমী সংগঠন। গণতন্ত্রে কুকুরও নাগরিক শীর্ষক ব্যানারে কলকাতার শ্যামবাজার মোড় থেকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। কুকুরদের অন্যায় ভাবে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা এবং রাস্তায় তাঁদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে এদিন মিছিল থেকে স্লোগান তোলা হয়। সম্প্রতি এই মামলায় শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল কুকুরদের যত্র তত্র খেতে দেওয়া চলবে না। নির্ধারিত একটি জায়গায় কুকুরের মালিক বা মালকিনদের কুকুরকে খেতে দিতে হবে। এই বিষয়ে সংগঠনের এক সদস্য বলেন, পশুকে যেমন নিপীড়ন করা অপরাধ তেমন রাস্তা থেকে পথ কুকুরদের সরিয়ে নেওয়া যায় না। একইসঙ্গে স্লোগান দেওয়া হয় বিষ নয় খাওয়ার চাই, আমরাও বাঁচতে চাই।তাঁদের মতে, একটি বাস্তুতন্ত্র থেকে হঠাৎ করেই একটি প্রাণীকে সম্পূর্ণ তুলো নেওয়া হলে, তা ব্যাপক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে সেই এলাকায়৷ ভেঙে পড়তে পারে সেখানকার পরিবেশের ভারসাম্য। সংগঠনের সদস্যরা জানান, কুকুর সরিয়ে নিলে পথেঘাটে বর্জ্য পদার্থ, আবর্জনাও বাড়তে পারে৷ যেখান থেকে পচন, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, প্যারাসাইট বা পরজীবীর সংখ্যা বাড়তে পারে৷