নাই নাই করে অনেক বছর কেটে গেল। পুজো করে আসছেন তিনি, এবার তার মুকুটে নতুন পলক। বালিগঞ্জে দুর্গাপূজা করবেন, অথবা বলতে পারা যায় দায়িত্ব পেয়েছেন শিলিগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং শিক্ষক সুকুমার ভাদুড়ী। তিনি জানালেন এই খবরটা আমাকে আমার মেয়ে প্রথম দিয়েছে। কলকাতায় পূজো করার অফার আমার কাছে নিঃসন্দেহে এক রোমাঞ্চকর ঘটনা। সিটি অফ জয় কলকাতা , বালিগঞ্জ একটা ঐতিহাসিক জায়গা, সেখানে দুর্গাপূজো করার দায়িত্ব আমি পেয়েছি এটা ভাবতেই আমার সারা শরীরে রোমাঞ্চ চলে আসছে। সুকুমারবাবু আরো জানালেন দুর্গাপূজো করাটা সহজ কথা নয়, বলা যেতে পারে কঠিন পুজো। সেখানে এই পূজোর দায়িত্ব আমি পেলাম, এটা মায়ের আশীর্বাদ ছাড়া আর কি হতে পারে, আমি তো চেষ্টা করে যাই কি হবে কি দেবে? সবই তো ঈশ্বরের উপরে। আজকে যে পুরস্কার আমি পেলাম, সেটা তো ভগবানের আশীর্বাদ। আর আমি তো পাবোই, শুধু চেষ্টা করে যাই ফলাফল সব সময় ভগবানের উপর। সব থেকে বড় কথা কর্ম করে যেতে হবে।, ফলাফলটা ভগবানের উপর। ভালো কাজ করো, মানুষকে দুঃখ দিওনা মানুষের কষ্টে মানুষের বিপদে মানুষের পাশে থাকো। অসহায়দের পারলে সাহায্য কর, অসুস্থদের পাশে দাঁড়াও। এটাই তো ভগবান চান। আমি আমার এত বছর কাটিয়ে এসেছি চেষ্টা করছি সবকিছু পালন করতে। সব সময় তো পারা যায় না, সমস্ত জিনিসই নির্ভর করে সময়ের উপর। আজকে আমি কলকাতায় দুর্গাপুজো করবো এত সুন্দর খবর আমার কাছে নিঃসন্দেহে একটা আলাদা অনুভূতি যোগায়। সুকুমার ভাদুরে আরো জানালেন মা তো সব জায়গায় এক সব জায়গায় সমান, তবুও কলকাতা গিয়ে দুর্গা পুজো করা নিঃসন্দেহে আমার মুকুটে একটা নতুন পলক। আমি চেষ্টা করে যাবো যাতে এই পুজোটা আমি ভালোভাবে করতে পারি। জানালেন সুকুমার ভাদুরি। তিনি আরো জানালেন , আমার স্ত্রী এবং আমার দুই মেয়ে সব সময় আমাকে উৎসাহ যুগিয়ে এসেছে। তাদের জন্যই হয়তো আজকে আমি এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। এখন দেখা যাক সবই মায়ের ইচ্ছে। জানালেন সুকুমার ভাদুড়ি।