সপ্তর্ষি সিংহ
ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের ওপর নির্যঅতন চলছে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব তৃণমূল। বাঙালি অস্মিতা রক্ষার ইস্যুতে ঝাড়গ্রামে পদযাত্রাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বন্যাত্রাণ ও ভুয়ো ভোটার-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে ২৬-এর নির্বাচনে তৃণমূলকে ‘বিসর্জন’-এর ডাক দিয়েছেন বিজেপি নেতা। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “উনি বলেছেন, আমি কোনও দিন না হারতে চাইলে হারি না। উনি তো আমার কাছে হেরেছেন। আমি ওঁকে বলছি আপনাকে আমি ভবানীপুরে হারাব। বিজেপি আমায় দাঁড় করালে আমি হারাব।” ফিরহাদ হাকিমকে একযোগে আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘এঁদের লক্ষ্য বাংলাদেশি, রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে হবে। কারণ এরা চলে গেলে দিদি চিৎপটাং।’ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এসে ডাঙায় দাঁড়িয়েছিলেন। চটি পরে ক্যামেরার সামনে এসে কেবল ‘তু খিচ মেরি ফটো’।” বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমরা বীরসিংহের সিংহ শিশু বিদ্যাসাগরের দেশের লোক। অর্থাৎ মেদিনীপুরের লোক আমরা। এই অহংকারী দাম্ভিক দুর্নীতির শিরোমণি গোটা বাংলাকে শেষ করে দিয়েছেন৷ চাকরি নেই, শিল্প নেই, আলু চাষ এবং ধান চাষ শেষ করে দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।” তাঁর সংযোজন, “অন্য যাঁকে দাঁড় করাবে তাঁকেও জেতানোর দায়িত্ব আমার। হেরেছে–হেরেছে– হেরেছে। যতদিন বাঁচবেন কানের কাছে এটাই বাজাব।” ঘাটালের সাংসদ-অভিনেতা দেবকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘একজন চিটিংবাজ। সংসদে সবথেকে কম উপস্থিতি এই তিনবারের সাংসদের। ভোটের সময় একবার আসে, আর বলে আই লাভ ইউ।’ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা চালু করা হবে বলেও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এনিয়ে পাল্টা শুভেন্দু বলেন, ‘তাঁদের মাসে ১ লক্ষ টাকার বেশি রোজগার। গুজরাত, দিল্লির মতো বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে প্রচুর টাকা রোজগার করেন। সেই টাকা দিয়ে বাংলায় এসে জমি কেনেন।’ শুভেন্দু বলেন, “আমরা যেখানে বর্ণপরিচয়ের স্রষ্টা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে প্রণাম করি, সেখানে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে গিয়ে বর্ণপরিচয়ের স্রষ্টা সতীশ সামন্ত বলে পরিচয় দিচ্ছেন ভাইপো৷ উনি আরও বড় জ্ঞানী।”