আগামী ২৮ অগাস্ট তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের মেগা সমাবেশ। এদিকে এই মেগা সমাবেশের দিনে তৈরি হয়েছে এক বড় সমস্যা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে যে পরীক্ষার সূচি সামনে আনা হয়েছে তাতে ওই ২৮ অগাস্টেই বি কম চতুর্থ সেমেস্টার এবং বিএ ,এলএলবি-রও চতুর্থ সেমেস্টারের পারীক্ষা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছ। আর এই পরীক্ষা সূচি সামনে আসার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান, ‘ইচ্ছা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ সঙ্গে এও জানান, ‘গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় যে কোনও ব্যক্তি নিজের ইচ্ছেমতো রাজনৈতিক মতাদর্শকে সমর্থন করতে পারে। এটাই গণতন্ত্রের মূল সৌন্দর্য। সেই অনুযায়ী, আজকের ছাত্র-যুব সমাজ যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশ্বাসী, তাঁদের আটকে দেওয়ার জন্য এক গভীর ষড়যন্ত্র রচনা করা হয়েছে।এই পরীক্ষা সূচি নিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের তরফ থেকে ক্ষোভ প্রকাশের আরও কারণ, বি.কম চতুর্থ সেমেস্টার এবং বি.এ. এলএলবি চতুর্থ সেমেস্টার যে পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করা হয়েছে তার সময় ঠিক দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা। আর এখানেই টিএমসিপি নেতাদের সন্দেহ, এটি কোনও সাধারণ অ্যাকাডেমিক সিদ্ধান্ত নয়। আর এখানেই তাঁদের অভিযোগ, এই ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, ছাত্রছাত্রীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং বিষয়টি দিল্লির ইশারায় চলা এক রাজনৈতিক অপকৌশল।তাঁদের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত কেবল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক ছাত্রছাত্রীদেরই নয়, বরং সমস্ত সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরও চরম অসুবিধার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, এই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী উপাচার্যর এমন আত্মকেন্দ্রিক পদক্ষেপ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, গণতন্ত্রবিরোধী এবং নিন্দনীয়।