এবার বেলেঘাটা খালে জলের প্রবাহ আটকে যাচ্ছে। আরএটি কলকাতা নিকাশি ব্যবস্থার সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত। এইজলপ্রবাহ আটকে যাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু কলকাতা পুরসভা-রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড বা আরভিএনএলের মধ্যে।
এদিকে চিংড়িহাটার উপর দিয়ে কবি সুভাষ-কলকাতা বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের কাজ চলছে। যদিও, মাত্র ৩৬৬ মিটার অংশ রাজ্য প্রশাসনের তরফে অনুমতি না পাওয়ায় চিংড়িহাটার উপরে কাজ বন্ধ রেখেছে আরভিএনএল। কিন্তু কাজ যেটুকু করা গিয়েছিল, তার জন্য বেলেঘাটা খালের উপরে মাটি ফেলে এখানে পিলার তৈরি করতে হয়। যার উপরে মূলত গার্ডার বসবে। সেই কাজ করার জন্য খালের মধ্যে মাটি ফেলা হয়। যদিও খালের জল যাতে দ্রুত নিষ্কাশন হয় তার জন্য মাটির মধ্যে দিয়ে পাঁচটি বড় দৈর্ঘ্যের পাইপ বসিয়ে দেওয়া হয়।এরপর সেতুর নিচে দিয়ে খালের জল ওই পাইপের মধ্যে থেকে কেষ্টপুর খালে গিয়ে পড়ে। সেখান থেকে বাগজোলা পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে নদীতে চলে যায়। কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের দাবি, পাইপ লাইনগুলির মাধ্যমে খালের জল সঠিকভাবে নিষ্কাশিত হচ্ছে না। যে কারণে বেলেঘাটার, ট্যাংরা, মেট্রোপলিটন সহ একাধিক অংশে বৃষ্টির সময় জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। বারবার করে ‘রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডকে’ এ ব্যাপারে জানানো হলেও কোনও রকম গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। খালের জলের প্রবাহ আটকে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ,এমনটাই দাবি নিকাশি বিভাগের কর্তাদের।
যদিও রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ। কাজ যদি মসৃণভাবে হয়ে যেত, তাহলে খালের জলে পাইপ বসিয়ে জল নিষ্কাশন করা বিষয়টি এতদিন ধরে চলত না। বাধ্য হয়ে মাটি ফেলে সেখানে পাইপ বসাতে হয়েছে। খালের জল আটকে না যায়। এখন দাবি করা হচ্ছে দ্রুত কাজ শেষ করতে। কিন্তু মূল কাজ যে আটকে রয়েছে সে ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসন কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। তবে বৈঠকে যদিও বৈঠকে উপস্থিত আরভিএনএল অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার জানান, ‘আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার এবং যে সমস্যা হয়েছে তা সমাধান করার।’
এদিকে মেয়র পারিষদ তারক সিং জানান, ‘জলের প্রবাহ কমেছে। আমরা পুরো বিষয়টি নজর রাখছি। সেই অনুযায়ী কাজ হবে।’
এর আগে মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজারের অভিযোগ ছিল চিংড়িঘাটা মোড়ে মাত্র ৩৬৬ মিটার মেট্রো লাইনের সংযুক্তির কাজ বাকি। বারবার আবেদন করেও প্রশাসনের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ, প্রথমে মেট্রোর কাজ ও পরে বেলেঘাটা খালে জলের প্রবাহ নিয়ে তরজায় জড়াল কেন্দ্র-রাজ্য।