দিনহাটা: সাত সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে গেল তিনটি দোকান সহ একটি বাড়ি। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল দিনহাটা দুই ব্লকের সীমান্ত গ্রাম চৌধুরীহাট বাজারে। মঙ্গলবার সাত সকালে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সীমান্তের বিএসএফ, সাধারণ মানুষ এবং দমকল কর্মীদের ঘন্টা চারেক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে যায় একটি বাড়ি ছাড়াও তিনটি দোকান। ঘটনার খবর পেয়ে ডিনারটা থেকে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন দ্রুত সেখানে পৌঁছায়। এছাড়াও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্রের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় দিনহাটা ২ ব্লকের বিডিও নীতিশ তামাং।ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক কয়েক লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল আটটা নাগাদ দিনহাটার চৌধুরীহাট বাজারের জনৈক গৌরাঙ্গ সাহার দোকানের গোডাউনে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান বাজারের সাধারণ মানুষ। আগুন মুহুর্তে পাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনা স্থলে এসে তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। বিএসএফকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এলাকার সাধারণ মানুষ। কিছুক্ষণের মধ্যে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দমকল কর্মী, বিএসএফ এবং সাধারন মানুষের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রায় ঘন্টা চারেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে পুড়ে যায় তিনটি দোকানের জিনিসপত্র ও একটি বাড়ির আসবাবপত্র। একটি দোকানের ভিতরে বেশ কিছু দাহ্য পদার্থ ছিল বলেও জানা গিয়েছে। আর সেখান থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তিনটি দোকান ও বাড়ির সবকিছু মিলিয়ে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিভাবে আগুন লাগলো তা খতিয়ে দেখছে দমকল কর্মীরা। তবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগতে পারে বলে দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান। এদিকে দিনহাটা দুই ব্লকে দীর্ঘ বছরের ডোমকল কেন্দ্র করে না উঠায় প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ২৫ কিলোমিটার দূরে দিনহাটা থেকে দমকল কর্মীদের ছুটে যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে কখনো কখনো আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। চোখের সামনেই ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকে। এদিন চৌধুরীহাট বাজারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফের দিনহাটা দুই ব্লকের সাহেবগঞ্জে দমকল কেন্দ্র স্থাপনের দাবি সামনে এলো। এলাকার বাসিন্দাদের অভিমত, দিনহাটা শহর থেকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে দমকল কর্মীদের আসতে হয়েছে। সাহেবগঞ্জে দমকল কেন্দ্র থাকলে আরো আগে দমকল কর্মীরা পৌঁছাতে পারতো এবং আগুন আরও আগে নিয়ন্ত্রণ করা যেত।এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দোকানের ভিতরে থাকা সবকিছু পুড়ে গিয়েছে। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিনা।
এদিকে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লাগার সঠিক কারণ যেমন খোঁজা হচ্ছে তেমনি ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা।