কোচবিহার: কোচবিহার শহরের একটি হোটেল থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার সকালে শহরের সুনিতি রোড এলাকায় ওই হোটেলের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় বাপ্পা আলি নামে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। তিনি কোচবিহারের সিতাই থানার বড় নাটাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। হোটেলের অন্যান্য আবাসিকরা দেহটি প্রথম দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি খবর দেন কোতোয়ালি থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে অনেক ডাকাডাকি করেও উত্তর না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। পরিবারের দাবি, কিছুদিন আগে লটারিতে ১ কোটি টাকা জেতেন বাপ্পা। এরপর থেকেই স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঘিরে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি।
পরিবারের অভিযোগ, “দু’দিন ধরে সে বাড়ি ফিরছিল না। এদিন পুলিশ ফোন করে মৃত্যুর খবর দেয়। ছুটে এসে দেখি, বাপ্পা চেয়ারে বসে,গলায় ফাঁস ফ্যানের সঙ্গে। তা দেখে সন্দেহ জাগে। আমরা জানতে চাই, সে একা হোটেলে এসেছিল, না কারও সঙ্গে? সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাই। হোটেল মালিক দেখাতে রাজি নন। কেন?”
তাঁদের আরও আশঙ্কা, ওই মহিলা টাকার লোভে বাপ্পাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়েছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ হয়তো ঘুষ নিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে। পরিবারের স্পষ্ট দাবি, “সিসিটিভি না দেখালে, দেহ নেওয়া হবে না।” ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে হোটেল চত্বরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হলেও, অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত ব্যক্তি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হোটেলের রেজিস্টার, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্যদের সাথে কথা বলে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।