উইম্বলডনের চাপ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতোই: কোহলি

IMG-20250708-WA0092

মাদ্রিদ: শেষ বার ২০১৫ সালে এসেছিলেন। আবার দশ বছর পর উইম্বলডনে খেলা দেখতে গেলেন বিরাট কোহলি। সোমবার স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে নিয়ে নোভাক জোকোভিচ বনাম অ্যালেক্স ডি মিনাউরের খেলা দেখলেন তিনি। পরে কোহলি জানালেন, উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে খেলার চাপ অনেকটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতোই। তিনি এটাও জানিয়েছেন, ফাইনালে জোকোভিচের বিরুদ্ধে কার্লোস আলকারাজকে দেখতে চান। ম্যাচের পর কোহলির সাক্ষাৎকার নেন ভারতের প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় বিজয় অমৃতরাজ। বিজয় প্রশ্ন করেন, উইম্বলডনে খেলা এবং লর্ডসের মতো ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলার মধ্যে ফারাক কোথায়? কোহলির উত্তর, “দু’জায়গাতেই চাপ থাকে। কারণ প্রচুর মানুষ স্টেডিয়ামে থাকে। তবে সেন্টার কোর্টের মতো চাপ আর কোথাও থাকে না। লোকে আপনার কত কাছে বসে থাকে। সব কথা শোনা যায়।” কোহলির সংযোজন, “ধরুন আমি ব্যাট করতে নেমেছি। সমর্থকেরা তখন আমার থেকে অনেকটা দূরে। তাই নিজের ভাবনাতে ডুবে থাকার এবং নিজের কাজ করার সুযোগ থাকে। কারও কোনও কথা কানে আসে না। শুধু আপনি বাউন্ডারির ধারে ফিল্ডিং করার সময় সেগুলো শুনতে পান। তবু ব্যক্তিগত দক্ষতায় হার-জিতের ব্যাপার সেখানে থাকে না।” এখানেই টেনিসের গুরুত্ব বেশি বলে মনে করেন কোহলি। তাঁর ব্যাখ্যা, “সেন্টার কোর্টে খেলা খুব কঠিন। সকলে আপনার পাশেই বসে রয়েছে। কথা বলছে, সমালোচনা করছে, আওয়াজ দিচ্ছে। এই কারণেই টেনিস খেলোয়াড়দের এত সমীহ করি। ওরা যে মানসিকতা, ফিটনেস দেখায় তা অসামান্য। এ রকম অভিজ্ঞতা দেখা যায় বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বা সেমিফাইনাল-ফাইনাল ম্যাচে। তখন পা দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইতে থাকে। টেনিস খেলোয়াড়েরা বোধহয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই সে রকম চাপের মধ্যে থাকে।” কোহলিকে অমৃতরাজ প্রশ্ন করেন, ছেলেদের ফাইনালে তিনি কাদের চান? একটু ভেবে কোহলির উত্তর, “আসলে নোভাকের সঙ্গে কিছু দিন ধরেই কথা হচ্ছে। ওর সঙ্গে মেসেজে কথা বলি। ও নিজেও যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করে। আমি চাই নোভাকের বিরুদ্ধে কার্লোস (আলকারাজ়) খেলুক ফাইনালে। ট্রফি উঠুক নোভাকের হাতেই। কেরিয়ারের এই সময়ে দারুণ ব্যাপার হবে। সর্বকালের সেরা হওয়ার ব্যাপারে যে আলোচনা চলছে, সেটাও থেমে যাবে।”

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement