কসবার ঘটনায় শহরে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল

IMG-20250630-WA0157

কসবার ল’ কলেজে ‘গণধর্ষণে’র ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য।সেই ঘটনায় তথ্য অনুসন্ধানে সোমবার কলকাতায় আসে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সেই টিমে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পুলিশকর্তা সত্যপাল সিংহ, বিজেপি সাংসদ বিপ্লবকুমার দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি ও সাংসদ মনন কুমার মিশ্র। কসবার ঘটনায় তথ্য অনুসন্ধানে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গড়ে চার সদস্যের ওই দল সোমবার বেলা ১২টার পরেই কলকাতায় এসে পৌঁছয়। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন বিকেলে লালবাজারে যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কসবার ঘটনা ও মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। লালবাজারে প্রায় ৪৫ মিনিট কাটান বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। কলেজগুলিতে প্রাক্তনীদেরও অবাধ গতিবিধি কেন? পুলিশ কমিশনারকে সে প্রশ্ন করেন সুকান্ত মজুমদার। ধৃতদের সাজা হবেই, সে বিষয়ে কমিশনার মনোক ভার্মা আশ্বস্ত করেছেন সুকান্ত-সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় দলকে। সুকান্ত মজুমদার জানান,‘‘আমি পুলিশ কমিশনারকে বলেছি, কলকাতার কলেজগুলো আপনার তত্ত্বাবধানে থাকা এলাকার মধ্যে পড়ছে। এই কলেজগুলোয় বহিরাগতদের গতিবিধি রোখা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় দল পুলিশ কমিশনারের কাছে প্রশ্ন রাখে যে, গণধর্ষণে ধৃতদের মধ্যে একজন এর আগেও একাধিক বার একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও অবাধে অপরাধমূলক কাজকর্ম করে বেড়াচ্ছিল কী ভাবে? এ ধরনের চিহ্নিত দুষ্কৃতীদের গতিবিধির উপরে পুলিশের যথেষ্ট নজরদারি কেন থাকে না? নির্যাতিতার এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও দলটির সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের কথা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি।
এদিন লালবাজার থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যায় কসবার আইন কলেজে। কলকাতায় নেমেই রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করেন বিপ্লব দেব। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যসচিবের কাছ থেকে আমরা সময় চেয়েছি। এখনও সময় দেননি। ল কলেজে যাওয়ার অনুমতিও এখনও আমাদের দেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাথরসে টিম পাঠাতে পারেন, পহেলগাঁওয়ে টিম পাঠাতে পারেন। কিন্তু যখন বিজেপি বা অন্য কোনও দলের টিম আসবে, তাদের অনুমতি দেওয়া হবে না। এটা অগণতান্ত্রিক মানসিকতা। মেডিক্যাল কলেজ, ল কলেজ, সব জায়গায় একই ঘটনা ঘটছে। তাঁদের নেতাদের যে বয়ান, তা মেনে নেওয়া যায় না। বাংলায় মহিলারা সুরক্ষিত নন। আইনের ছাত্রী, যিনি আগামী দিনে অন্যের জন্য লড়াই করবেন, তাঁর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটল। এখানে নিরাপত্তা একদমই নেই। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানাই।’’ মীনাক্ষী লেখি বলেন, ‘‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে বার বার মহিলাদের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনের যদি আমাদের সঙ্গে দেখা করার সময় না হয়, তা হলে ওঁরা কী করছেন জানি না। আমরা বিষয়টি দেখতে চাই।’’ এর আগে কসবায় গিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার। রবিবার সকালে কলেজে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তাঁরা।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement