সপ্তর্ষি সিংহ
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের মাটিতে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল। কিছুদিন আগে প্রাক্তন বিজেপি বিজেপি সাংসদ জন বার্লা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এবার ‘দিদি’র সেই ‘উন্নয়নের কান্ডারি হয়ে ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন বলে জানালেন কংগ্রেসত্যাগী শংকর মালাকার। বুধবার তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক সুব্রত বক্সি এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন। বিজেপি থেকে জন বার্লাকে এনে বোমা ফাটিয়েছে তৃণমূল। এবার কংগ্রেস থেকে চলে এলেন শঙ্কর মালাকারের যোগদান উত্তরবঙ্গের মাটিতে তৃণমূলকে অক্সিজেন জোগাচ্ছে। দলে আসতেই শঙ্করের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাসদের। তাঁদের দাবি এতে তৃণমূল কর্মীরা যেমন আরও অক্সিজেন পাবেন, তেমনই আরও শক্তি বাড়বে দলের। বিজেপি উত্তরবঙ্গে ছারখার করছে। কখনও কামতাপুরী , গোর্খাল্যান্ড কখনও উত্তরবঙ্গ ভাগ করতে চাইছে। কংগ্রেসে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই সম্ভব না। তাই তৃণমূলে এলেন।
শঙ্করবাবু বলেন, “একা বা কয়েকজন মিলে কংগ্রেস শক্তিশালী হবে না। মাত্র ৩% ভোট দিয়ে হবে না কংগ্রেসের। দিল্লি বিজেপির বিরুদ্ধে কিছু বলে না।”
পাল্টা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সুমন রায় চৌধুরী বলেন, ‘বেশ লাগলো , তৃণমুলের মঞ্চে বসে ই, তৃনমূল কে বিঁধলেন শংকরবাবু। ১০ বছরের ওনার বিধায়ক হিসাবে উপলব্ধি, বিরোধী দলে থাকলে বাংলায় কাজ করা যায় না । আমাদের অভিযোগেই সিলমোহর দিলেন শংকর মালাকার, সত্যি এই বাংলায় বিরোধী জন প্রতিনিধি দের কাজ করতে দেওয়া হয় না’।
শঙ্করবাবু অবশ্য বলেছেন, কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের কোনও চিঠি তিনি পাননি। বরং নিজে থেকেই দলত্যাগের কথা জানিয়েছেন প্রদেশ নেতৃত্বকে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, শঙ্কর ঘর ছাড়াতে তা ভোটের আগে অধীর-শুভঙ্করদের জন্য যে বড় ‘সেটব্যাক’ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকেই বলছেন শঙ্করের দলবদলে উত্তরে কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে গেল কংগ্রেস।