ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকদের ধরতে বিশেষ পদক্ষেপ শিয়ালদহে

IMG-20250603-WA0393

গত বেশ কয়েক মাস ধরে নজরে আসছে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে পূর্ব রেলের ওই সেকশনে শুরু হয়েছে টিটি-দের অর্থাৎ টিকিট পরীক্ষকেরকড়া নজরদারি। এদিকে এই সর্ষের মধ্য়েই যে ভূত লুকিয়ে তা জানেন না সাধারণ যাত্রীরা। জানতে পারার কথাও নয়। তারই সুযোগ নিয়ে এদের দাপট সর্বত্র। তাদের বিচরণ ক্ষেত্র থেকে বাদ পড়েনি শিয়ালদহ স্টেশনেও। আর এই সব স্টশনে তারা পাকড়াও করেছে যাত্রীদের। তাদের কাছ থেকে নিয়েছে জরিমানা বাবাদ টাকাও। তবে তা আর পৌঁছায়নি ভারতীয় রেলের কোষাগারে।
এবার এই ভুয়ো টিটি মহাশয়দের তাদেরই ধরতে বড় পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল ভারতীয় রেলকে। একইসঙ্গে এদের যাত্ সহজেই চিহ্নিত করা যায় তার জন্য বিশেষ ব্যাজ ব্যবস্থা চালুও করা হয়েছে শিয়ালদহ ডিভিশনের তরফ থেকে।সূত্রে খবর, এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন শিয়ালদহ স্টেশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার জসরাম মীনা। তাঁরই উদ্যোগেই শুরু হয়েছে এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সঙ্গে পূর্ব রেল সূত্রে এও জাা যাচ্ছে এর সুফল মিলেছে হাতেনাতেই। রবিবার এই বিশেষ ব্যাজের মাধ্য়মেই পরপর দু’জন ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে পাকড়াও করা সম্ভব হয়।পূর্ব রেল সূত্রে খবর, প্রথম ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক পাকড়াও করা হয় শিয়ালদহ-লালগোলা প্যাসেঞ্জার থেকে। নিজেকে টিকিট পরীক্ষক হিসাবে পরিচয় দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু যাত্রীরা তার কাছে নতুন চালু হওয়া বিশেষ ব্যাজ দেখতে চাইলেই চরম অস্বস্তিতে পড়েন তিনি। নিজের ভুয়ো পরিচয় ঢাকতে সন্দেহজনক আচরণও শুরু করেন। তারপরেই টিকিট পরীক্ষকের পরিবর্তে নিজেকে ভিজিল্যান্স অফিসার বলে পরিচয়ও দিতে দেখা যায় তাঁকে। তবে তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। এরপর এই ঘটনায় ফোন আসে শিয়ালদহ রেল কর্তৃপক্ষের কাছে।
সেই ভিত্তি রেলপুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। দ্বিতীয় ঘটনাস্থল লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশন। কর্মরত কয়েক জন টিকিট পরীক্ষক লক্ষ্য করেন এক ব্যক্তি জোর করে যাত্রীদের থেকে টিকিট চাইছেন। তখনই তাকে ঘিরে ধরে অন্যান্য রেলকর্মী থেকে আমজনতাও। এতো মানুষের ভিড় দেখে হতভম্ব হয়ে যান ওই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক। এরপরই ঝুলি থেকে বেরহয় বেড়াল। এই প্রসঙ্গে শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার রাজীব সাক্সেনা জানান,‘রবিবারের এ দুটো ঘটনা প্রমাণ করে যে আমাদের নেওয়া পদক্ষেপ কতটা কার্যকর। নতুন ব্যাজ এর মাধ্যমে প্রকৃত টিটিইদের চিহ্নিত করা সহজ হয়েছে আমজনতার কাছে। ঠকছে না তাঁরাও, ঠকছে না ভারতীয় রেলও।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement