ট্যাংরার ঘটনায় চলতি সপ্তাহেই চার্জশিট ফাইল করতে চলেছে ট্যাংরা থানার পুলিশ। শিয়ালদহ আদালতে দাখিল করা হবে চার্জশিট, এমনটাই খবর কলকাতা পুলিশ সূত্রে। এই ঘটনায় ৪ মার্চ দে পরিবারের ছোট ছেলে প্রসূন দে গ্রেফতার হন। চলতি মাসে গ্রেফতার করা হয় বড় ছেলে প্রণয়কেও। গ্রেফতারির ৯০ দিনের মধ্যেই চার্জশিট জমা করতে চলেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, প্রবল দেনায় ডুবে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিল ট্যাংরা দে পরিবারের সদস্য়রা। এই আত্মহননের ঘটনায় ট্য়াংরার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দুই মহিলা ও এক নাবালিকার দেহ। রাস্তায় গাড়িতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল বাড়ির তিন পুরুষ সদস্যকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দে পরিবারের দুই পুত্রবধূ ও নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয় বাড়িতে। এর পাশাপাশি ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টের পরে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে একটি স্তম্ভে ধাক্কা খেয়েছিল প্রসূনদের গাড়ি। প্রণয় এবং প্রসূন দাবি করেছিলেন, আত্মহত্যা করার জন্যই ওই পদক্ষেপ করেছিলেন তাঁরা। পরে তাঁদের বাড়িতে উদ্ধার হয় দুই ভাইয়ের স্ত্রী ও কন্যা প্রিয়ংবদার দেহ। এরপর পুলিশি জেরার মুখে প্রসূন দাবি করেছিলেন যে, তিনি মেয়ে প্রিয়ংবদার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছিলেন। সেই সময়ে তাঁর স্ত্রী রোমি মেয়ের পা চেপে ধরেছিলেন। এ ছাড়া, প্রিয়ংবদাকে খাওয়ানো হয়েছিল ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েসও। প্রিয়ংদার মৃত্যুর পর স্ত্রী এবং বৌদিকে তিনি-ই খুন করেন।