পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাব দিতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে অভিযান চালায় ভারত। অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। সেই অপারেশন নিয়ে কয়েকদিন আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের একটি মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তাকে হাতিয়ার করে লাগাতার আক্রমণ জারি রেখেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। যদিও এই নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এখনও মুখ খোলেননি। তাঁর নীরাবতা নিয়েই সোমবার ফের প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধি। লোকসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, বিদেশমন্ত্রীর এহেন নীরবতা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের একটি বক্তব্য নিয়ে দিন দুই ধরে জোর চর্চা চলছে সোশাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিও হাতিয়ার করেই প্রশ্ন তুলেএন রাহুল। এক্স হ্যান্ডেলে জয়শংকরের একটি বক্তব্যের ক্লিপ পোস্ট করেন তিনি। তাতে বিদেশমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “অপারেশনের শুরুতেই আমরা পাকিস্তানকে জানিয়েছিলাম, আমরা জঙ্গিদের উপর হামলা চালাব। সেনা বা সেনা পরিকাঠামোয় নয়। তাই আপনারা এসবের থেকে দূরে থাকুন। কিন্তু পাকিস্তান সেই সুপরামর্শ নেয়নি।” রাহুলের বক্তব্য, যদি এভাবে সেনার অপারেশনের আগেই শত্রুদেশকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা অপরাধ।বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, “বিদেশমন্ত্রীকে এই অপরাধ করার অধিকার দিল কে?” একই সঙ্গে রাহুল প্রশ্ন তুলেছেন, “এভাবে তথ্য আগাম জানিয়ে দেওয়ার জন্য ভারতের কটা যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে?” রাহুলের এই পোস্টের আগেই অবশ্য বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, “বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রী বলছেন, তিনি পাকিস্তানকে সতর্ক করছিলেন অপারেশন সিন্দুরের শুরুর দিকে। সেটাকেই চালানো হচ্ছে অপারেশন সিন্দুরের আগে সতর্ক করা হয়েছে বলে।” বিজেপির দাবি, “রাহুল গান্ধি ফেক নিউজ ছড়াচ্ছেন।” তবে এতকিছুর পরেও রাহুল নিজের অবস্থানে অনড়। সোমবার ফের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘বিদেশমন্ত্রীর এইভাবে চুপ করে থাকাটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি আবারও প্রশ্ন করছি, পাকিস্তান অপারেশন সিন্দুরের তথ্য জানার ফলে ভারতের ক’টা যুদ্ধবিমান নষ্ট হয়েছে? এই ঘটনাটিকে ভুল বলা চলে না। এটা অপরাধ। গোটা দেশের অধিকার রয়েছে সত্যিটা জানার।’ তবে কংগ্রেস সাংসদকে পালটা তোপ দেগেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র তুহিন সিনহার কথায়, অন্য কোনও শক্তির নির্দেশে এই কথাগুলি বলছেন রাহুল। যে সময়ে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সাংসদ এই প্রশ্ন তুলেছেন, তাতে ‘ষড়যন্ত্রের’ গন্ধও পাচ্ছে গেরুয়া শিবির।