কলকাতাতেও অবাধ বিচরণ ছিল জ্যোতিরানি মালহোত্রার। একবার নয়, একাধিকবার কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন জ্যোতি। নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাতেও গিয়েছিলেন বলে সূত্রে খবর। এমনকী উত্তরবঙ্গের চিকেনস নেক অঞ্চল থেকে শুরু করে অসমের সীমান্তবর্তী এলাকা, করোনেশন ব্রিজেও গিয়েছিলেন তিনি। আর জ্য়োতির এই কলকাতা সফরের সময় তাঁর সঙ্গী ছিলেন বাংলার ট্রাভেল ব্লগার সৌমিত ভট্টাচার্য। পাকিস্তানেও গিয়েছিলেন তিনি। জ্যোতি মালহোত্রার পোস্ট করা ভিডিয়োতেই দেখা গিয়েছে সৌমিত ভট্টাচার্কে। সৌমিত জানান, জ্যোতির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের সময়। উদ্বোধনের এক সপ্তাহ আগে সৌমিত ভ্লগ করতে গিয়েছিলেন অযোধ্যায়। সেখানেই প্রথম তাঁর আলাপ হয় জ্যোতির সঙ্গে। সেই সূত্রেই কলকাতায় এসে সৌমিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন জ্যোতি। সঙ্গে এও জানা গেছে, কলকাতায় নামার পর জ্যোতি গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের নামী বিরিয়ানি জয়েন্টে। সেখানে জ্যোতি ও সৌমিত একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন। মাত্র তিন মাস আগেও জ্যোতিরানি কলকাতায় এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হাওড়া স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন সৌমিত ভট্টাচার্য। সৌমিতের সঙ্গেই জ্যোতি পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরে। সেখানেই বিরিয়ানি খান তাঁরা। সৌমিত স্বয়ং জানান, বিরিয়ানি খেয়ে ব্যারাকপুর থেকে লঞ্চে করে তিনি ও জ্যোতি গিয়েছিলেন শেড়াফুলি ঘাটে। সেখান থেকে ট্রেনে চেপে তাঁরা লিলুয়ায় যান। সেখানেই ছিল আর এক ট্রাভেল ভ্লগার মোহিতের বিয়ের অনুষ্ঠান। সেই বিয়ের ভিডিয়োও ভ্লগ হিসেবে পোস্ট করেন জ্যোতি। নবদম্পতির সঙ্গে নাচে মেতে উঠেছিলেন জ্যোতি।
একসঙ্গে ঘুরলেও জ্যোতির ব্যাপারে আর কিছু জানতেন না বলেই জানিয়েছেন সৌমিত। তিনি জানান, আগে যদি জানতেন জ্যোতি সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও যোগ আছে, তাহলে তিনি কোনওদিন তাঁকে কলকাতায় ঢুকতে দিতেন না। তবে কলকাতা ও আশপাশের অঞ্চলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পড়শিদেশে জ্যোতি পাচার করেছেন কি না তা এবার খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।