নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক দেশজুড়ে বিমান যোগাযোগ প্রসারে দায়বদ্ধ। এই লক্ষ্যপূরণে আরও একটি উদ্যোগ হিসেবে রাজস্থানের কোটায় এবং ওড়িশার পুরীতে গ্রীণফিল্ড বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ৫ মে, ২০২৫ নৈতিক অনুমোদন দিয়েছেন বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু কিঞ্জরাপু।কোটায় এই বিমানবন্দর নির্মাণে কোটা – বুন্দির সাংসদ এবং লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা সক্রিয়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই বিমানবন্দর নির্মাণে নৈতিক অনুমোদন তার এই নিরন্তর প্রয়াসের ফলশ্রুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। নতুন এই বিমানবন্দরটি নির্মিত হলে তা অন্যতম প্রধান শিক্ষা এবং শিল্প হাব হিসেবে পরিচিত কোটা শহরের কাজে লাগবে কেবল তাই নয়, হাদোতি এলাকার বর্ধিত জনসংখ্যা এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপও তাতে উপকৃত হবে। এই বিমানবন্দরটি নির্মিত হলে দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রধান গন্তব্য স্থানগুলির সঙ্গে কোটার যোগসূত্র তৈরি হবে। এটি রাজস্থানের কোটার পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধান মাইলফলক হিসেবে দেখা দেবে শুধু তাই নয়, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বিমান পরিবহন সুগম করতে সরকারি প্রতিশ্রুতিও ফলপ্রসু হবে।অন্যদিকে প্রভু জগন্নাথের ধাম হিসেবে পুরী দেশের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। দেশ ও বিদেশের লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এবং পর্যটক এখানে ভিড় করেন। পুরীতে বিমানবন্দর তৈরি হলে তা ধর্মীয় পর্যটন, আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং এলাকার সামগ্রিক যোগসূত্র প্রসারের কার্যকর ভূমিকা নেবে। এই বিমানবন্দরের ফলে পুরীর সঙ্গে ভারতের প্রধান শহরগুলির প্রত্যক্ষ বিমান যোগসূত্র গড়ে উঠবে। ফলে এই সিদ্ধান্ত পুরী এবং ওড়িশার জন্য অন্যতম মাইলফলক হয়ে ওঠার পাশাপাশি বিমান পরিবহনকে সকলের জন্য সুগম করতে এবং একেবারে প্রান্তিক এলাকার সঙ্গে যোগসূত্র শক্তিশালী করতে সরকারি দায়বদ্ধতার পরিচায়ক হয়ে উঠবে।