পহেলগাঁও নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্তর চায় তৃণমূল

IMG-20250506-WA0292

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহ ও বৈষ্ণবঘাটা লেনে বিতান অধিকারীর বাড়িতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো তাঁদের পরিবারের হাতে মঙ্গলবার আর্থিক সাহায্য তুলে দেন দুই মন্ত্রী। তাঁদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিরারের সদস্যরা। সেখান থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ বলেন,’শোকাহত পরিবারের পাশে আছি। আমি আশা করছি কেন্দ্রীয় সরকার এই হামলার যোগ্য জবাব দেবে।’
এদিকে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের হাতে প্রাণ গেছে ২৬ জনের। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দু’সপ্তাহ পার। এখনও অধরা মাস্টারমাইন্ডরা। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা এখনও কাশ্মীরের দুর্গম জঙ্গল এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলেই অনুমান। কারণ, একাধিক বার ধরা পড়তে পড়তে হাত থেকে ফসকে গেছে তারা। আর এখানেই কেন্দ্রের কাছে বিরোধীদের প্রশ্ন, কেন এখনও অধরা জঙ্গিরা তা নিয়ে।
এদিকে পহেলগাঁও হামলার পর শোকের আবহেও দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে ধিকিধিকি করে। প্রত্যাঘাত চাইছেন সকলে। নিরীহ ২৬টি প্রাণের নেপথ্যে পাকিস্তানের যে হাত রয়েছে তা ইতিমধ্যে বেশ স্পষ্ট। তাই পাকিস্তানকে পালটা আঘাত করলে তবেই যথাযথ প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে মনে করছেন আমজনতা থেকে একাধিক রাজনীতিবিদরাও। কেন্দ্রও অবশ্য এ নিয়ে সক্রিয়তা দেখিয়েছে। দফায় দফায় সেনাবাহিনীর প্রধান,জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৎপরতা সেনাবাহিনীতেও। জোর দেওয়া হয়েছে মহড়ায়। কোথাও যেন এক যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ।
এবার এ ব্যাপারে সরব হতে দেখ গেল বাংলার শাসকদল তৃণমূলকেও। পহেলগাঁও হামলার ১৪ দিনে ‘মৌনমোদি’র কাছে ১৪ দফা প্রশ্ন তুলে ধরল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সোশাল মিডিয়া পোস্ট করে জঙ্গি হামলায়, স্বজনহারা পরিবার, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে একে একে ১৪ টি প্রশ্ন তোলা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। সঙ্গে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে,‘উত্তর দিন মৌন মোদি।’কারণ, যুদ্ধের এক আবহ তৈরি হলেও এখনও পর্যন্ত ইসলামাদের উদ্দেশে একটি পালটা আঘাতও করেনি নয়াদিল্লি। এমনকী প্রধানমন্ত্রী মোদি আলাদা করে হামলা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি। শুধু বিহারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হুঙ্কার দিতে শোনা গিয়েছে,অপরাধীদের কল্পনাতীত শাস্তি দেবেন।
আর এই ইস্যুতেই এবার তৃণমূলের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হল সোশাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন তোলা হল,পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলার ১৪ দিন, অবিচারের ৩৩০ ঘণ্টা পার, তবু কেন সব জঙ্গি এখনও ধরা পড়ল না? তদন্তের অগ্রগতি কী? কেন আগাম ইঙ্গিত সত্ত্বেও এত বড় হামলা এড়ানো গেল না? কেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে প্রধানমন্ত্রী বিহারের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন? এই মুহূর্তে দেশের সুরক্ষায় কী ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র? এমন হাজারো প্রশ্নের মাঝে রয়েছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি জিজ্ঞাসাও। সীমান্ত সুরক্ষার কাজ করতে গিয়ে পাক রেঞ্জার্সের হাতে ‘বন্দি’ বাংলার জওয়ান পি কে সাউকে কবে দেশে ফেরানো হবে? আদতে পি কে সাউকে নিয়েও কেন্দ্র বা বিদেশমন্ত্রক অথবা সেনাবাহিনী কারও তরফেও এখনও কোনও বক্তব্য মেলেনি। তাই তাঁকে নিয়েও কপালে ভাঁজ প্রত্যেকেরই।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement