পানাজি: জামশেদপুর এফসি’কে ৩-০ গোলে উড়িয়ে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন এফসি গোয়া। এই জয়ের ফলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর প্রাথমিক পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল মানোলো মার্কেজের ছেলেরা। চার বছর পর এশীয় স্তরে খেলবে এফসি গোয়া। অন্যদিকে, এশিয়ান স্তরের কোনও প্রতিযোগিতায় প্রথমবার খেলার সুযোগ হারালেন জামশেদপুর ফুটবলাররা। এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন গোয়ান ফুটবলাররা। দ্বিতীয় মিনিটেই গোলমুখী শট নেন বোরহা ফার্নান্দেজ। শট চলে যায় সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে। ৫ মিনিটে জামশেদপুর বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন বোর্জা। এক্ষেত্রে বিপক্ষের ডিফেন্স সজাগ থাকায় বিপদ হয়নি। এই বোর্জা হেরেরার গোলেই ২৩ মিনিটে এগিয়ে যায় গোয়া। সাংওয়ানের শট সেভ করেন অ্যালবিনো। ফিরতি বলে শট নেন বোর্জা। যা আবারও গোলকিপারের হাতে লেগে আসে স্প্যানিশ ফুটবলারের কাছে। এক্ষেত্রে কোনও ভুল করেননি তিনি। এগিয়ে যায় গোয়া। যদিও এর পরেও জামশেদপুর এফসি’র ফুটবলারদের আক্রমণ সেভাবে দানা বাঁধেনি। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। জামশেদপুর কোনও গোল হজম না করেই সুপার কাপের ফাইনালে নেমেছিল। যদিও এদিন সমস্ত পরিসংখ্যান ওলট-পালট করে দেয় গোয়া। তবে, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা খারাপ করেনি জামশেদপুর। বেশ আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েই মাঠে নামেন জামশেদপুরের ছেলেরা। যদিও খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে ৫১ মিনিটে বিশ্বমানের গোল করেন সেই বোর্জা। ২৬ নম্বর জার্সিধারী বাঁ-দিক থেকে উঠে এসে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ-পায়ের অনবদ্য শটে গোল করে গোয়াকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকটি বিক্ষিপ্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন খালিদ জামিলের ছেলেরা। ৬০ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ চলে এসেছিল তাদের কাছে। যদিও ভাগ্য সহায় ছিল না। ৬৯ মিনিটে ফের সুযোগ পেলেও এক্ষেত্রেও গোল হয়নি। ৭১ মিনিটে দেজান ড্রাজিকের গোলে গোয়ার পক্ষে স্কোরলাইন হয় ৩-০। এই গোলের পরই নির্ধারিত হয়ে যায়, সুপার কাপ জিততে চলেছে গোয়া। এই ম্যাচের পরেই গোয়াকে বিদায় জানালেন মানোলো মার্কেজ। তিনি এবার পূর্ণ সময় ভারতীয় দলের হেডকোচের দায়িত্ব সামালাবেন।