জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের পুনর্গঠন

IMG-20250501-WA0003

পহেলগাঁও হামলার পর তোলপাড় দেশ। জঙ্গি হামলার ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা নিয়েও কোনও কোনও মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এই আবহেই এবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সূত্রের খবর, বোর্ডের প্রধান হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে প্রাক্তন ‘র’কর্তা অলোক জোশীকে। এছাড়াও আরও ছ’জন সদস্য থাকবেন এই বোর্ডে। তার মধ্যে তিনজনই সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন কর্মী। উল্লেখ্য, শেষবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ড গঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালে। মঙ্গলবারই জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠক হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেনা প্রধানরাও। সেই বৈঠকেই জঙ্গি হামলার জবাব দিতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর বুধবার সকালে আরও এক দফায় নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। তারপরেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। র-এর প্রাক্তন প্রধান অলোককে এই পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইডজ়ারি বোর্ডে আনা হয়েছে আরও ৬ জনকে। তাঁদের মধ্যে বাহিনী থেকে অবসর নেওয়া সেনাকর্তা ও আইপিএস আধিকারিকেরা রয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছেন প্রাক্তন কূটনীতিক বি বেঙ্কটেশ বর্মা। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) পিএম সিংহ, স্থলসেনার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) একে সিংহ এবং নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্নার রয়েছেন উপদেষ্টা পর্ষদে।অলোক ছাড়াও দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রাজীবরঞ্জন বর্মা এবং মনমোহন সিংহও ঠাঁই পেয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদে। প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ’ সুরক্ষা সংক্রান্ত মূল পদক্ষেপের দায়িত্বে রয়েছে। অলোকের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পর্ষদের কাজ হবে, সুরক্ষাজনিত দৃষ্টিকোণ পর্যালোচনা করে ডোভালের কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম পুনর্গঠন হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ।প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে গত মঙ্গলবারের (২২ এপ্রিল) হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের এক জনেরও খোঁজ মেলেনি এখনও। কিন্তু বৈসরন উপত্যকার জঙ্গি হানায় ২৫ জন পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু ঘিরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। সেই সঙ্গে উপত্যকা জুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement