কোনও ছবির প্রিমিয়ারে যাবেন না স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়

IMG-20250425-WA0192

কাশ্মীরের পহলগাওঁয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার জেরে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। সেই রেশে ফুঁসছেন তারকারাও। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও।‌ এর মাঝেই সমাজমাধ্যমে এক বড় ঘোষণা করলেন অভিনেত্রী। জানালেন, নিজের কোনও ছবির প্রিমিয়ারে আর যাবেন না। এমনকী অন্যের ছবির প্রিমিয়ারেও নাকি দেখা যাবে না অভিনেত্রীকে। সমাজমাধ্যমে স্বস্তিকা লেখেন, ‘আমি এখন থেকে আর কোনও ছবির প্রিমিয়ারে যাব না। নিজের ছবিরও না। পরের ছবিরও না। এমনিও কম যাই, সে নিজের হোক বা পরের। কারণ অনেক। প্রিমিয়ারে ভিড় বা তারপরের দিন কাগজে কভারেজ দেখে বা তৎক্ষণাৎ সামাজিক মাধ্যমে রিলস দেখে, সিনেমাটা দেখব কিনা এটা কোনও দর্শক নির্ধারণ করেন না। করেন ছবির টিজার, ট্রেলার, পোস্টার দেখে, বা যদি ছবির কলাকুশলী দেখে তাদের সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে করে। আমরা যথেষ্ট প্রচার করি, সেটা মানুষকে জানান দেওয়ার জন্যই যে এই কাজটা আসছে। ‘তিনি আরও লেখেন, ‘অর্ধেক সময়েই ক্রিউ মেম্বারদের ডাকা হয়না। হয়তো এইচওডিদের সেই সম্মান প্রাপ্তি হয়, তাই বলে সব ডিপার্টমেন্টের এর এইচওডিদের যে ডাকা হয় তাও নয়। যে প্রোডাকশন দাদারা গোটা সিডিউলে মুখের কাছে জল, চা, খাবার ধরল, গরমের দিনে গ্লুকোজ গুলে নিয়ে এল, মাঝরাতে থাম্পস আপ আনতে ছুটল তাকে প্রিমিয়ারে নেমন্তন্ন করাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।’অভিনেত্রী লেখেন, ‘বাবার সঙ্গে বাবার অনেক ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে গিয়েছি। ‘টগরি’ দেখতে গিয়েছিলাম নবীনা প্রেক্ষাগৃহে। বাবা এবং সন্ধ্যা রায় ছিলেন সেই ছবিতে। সেখানে সকল কাস্ট ক্রিউকেই ডাকা হত। পরিচালক থেকে হিরো এবং যে জামাকাপড় ইস্ত্রি করেছে তাকেও। শুধু দেখনদারীতে এসে ঠেকেছে সব। আর খাপ খাওয়ানো যাচ্ছেনা। এক রাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে পরে না হয় টিকিট কেটে দেখে নেব।এমনিও অন্যদের সিনেমা টিকিট কেটেই দেখি। এবার থেকে নিজেরটাও তাই করব। সবার হাতে ফোন। সমস্ত ফুটেজ ওই ফোন এই তোলা হচ্ছে। কে আসলে মিডিয়া, আর কে ব্লগার, ইনফ্লুয়েন্সার, বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদেরকে বাইট দেবো বা তাদের ফোনে বন্দি হব জানিনা।’ ক্ষোভ উগরে স্বস্তিকা আরও লেখেন, ‘হঠাৎ করে এই শহরে সবাই পাপারাজ্জি। আর কোনও ডেকরাম নেই, কোনও নির্ধারিত জায়গা নেই যেখানে মোবাইল হাতে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়াবেন, সবাই গায়ের ওপর উঠে পরে, পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যাস বেস্ট রিলটা বানিয়ে ফেলবে। আমার ছবি তুলতে গিয়ে সেদিন ট্রেলার লঞ্চে কেউ একটা আমাকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিল। এত ঠ্যালাঠেলি ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। আমি বাউন্সার নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তা-ঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই কিন্তু তার বাইরে নিজের সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি পেছনে বাউন্সার নিয়ে যেতে হয় কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভাল। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, ব্যক্তিগত ডিসিশন। আমায় আর নেমন্তন্ন করবেন না। মুখের ওপর না বলতে না পারলে হাসি মুখে কাটিয়ে দেবো। আমি যে ছবিতে কাজ করব, জীবন উজাড় করে তার প্রচার করব। প্রিমিয়ারে পৌঁছে এক হাজারটা বাইট আর আরও কয়েক শো সেলফি আর বাজে ছবি তুলতে পারছিনা।’

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement