মালেগাঁও কান্ডে সাধ্বী প্রজ্ঞার ফাঁসি চাইল এনআইএ

IMG-20250425-WA0198

মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞার ফাঁসি চাইল এন আই এ। সাধ্বী সহ বিস্ফোরণ মামলায় মোট ৭ অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রজ্ঞা-সহ ৭ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় অভিযোগ এনেছে এনআইএ। প্রায় দেড় হাজার পাতার রিপোর্টে সাধ্বী প্রজ্ঞা, কর্ণেল প্রসাদ পুরোহিত, অজয় রোহিরকর, মেজর রমেশ উপাধ্যায়, স্বামী দয়ানন্দ পাণ্ডে, সমীর কুলকার্নি ও সুধাকর চতুর্বেদীর বিরুদ্ধে ইউপিএর ১৬ এবং ১৮ ধারা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৩০২, ৩০৭, ৩২৪,৩২৬, ৩২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক রাষ্ট্রদ্রোহিতার ধারা রয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত আগামী ৮ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করবে। ইতিমধ্যেই শুনানি শেষ হয়েছে। এই মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন ২৯১ জন। ১৭ বছর আগের ওই বিস্ফোরণে ছয় জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন শতাধিক। সেই মামলায় আদালতে বিচারক এ কে লোহটির এজলাসে প্রায় দেড় হাজার পাতার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল এনআইএ। সেই রিপোর্টে প্রজ্ঞা-সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৬ এবং ১৮ ইউপিএ ধারা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৩০২, ৩০৭, ৩২৪,৩২৬, ৩২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, শুনানি শেষ হলেও বিচারক রায়দান স্থগিত রেখেছেন। আগামী ৮ মে এই মামলার রায় ঘোষণা হবে। উল্লেখ্য, এই মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন ২৯১ জন।প্রাক্তন সাংসদের সঙ্গে অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, অজয় রোহিরকর, মেজর রমেশ উপাধ্যায়, স্বামী দয়ানন্দ পাণ্ডে, সমীর কুলকার্নি ও সুধাকর চতুর্বেদীর। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই থেকে প্রায় ২৭০ কিমি দূরে মালেগাঁও কেঁপে ওঠে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে। বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ছ’জন নিরীহ মানুষ, আহত হয়েছিলেন প্রায় শতাধিক। তারপরই তদন্তকারীদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সাধ্বী প্রজ্ঞা ও ভারতীয় সেনার কর্নেল পুরোহিত। ভারতে ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদ’ শাখা বিস্তার করছে এমনটাই অভিযোগ তুলেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার। হামলার পর হেমন্ত করকরের নেতৃত্বে এই মামলার তদন্ত শুরু করে মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। ওই বছরই মুম্বই হামলায় শহিদ হন তিনি। তারপর ২০১১ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণের তদন্ত ভার এনআইএর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তদন্তকারীদের দাবি, ওই বিস্ফোরণের নেপথ্যে রয়েছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা, কর্নেল পুরোহিত-সহ ওই সাত অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, ‘অভিনব ভারত’ নামের একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে নাশকতা চালানোর অভিযোগও আনা হয় এঁদের বিরুদ্ধে। যদিও সমস্তটাই ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেন অভিযুক্ত। এবার সাত অভিযুক্তেরই ফাঁসি চাইল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই থেকে প্রায় ২৭০ কিমি দূরে মালেগাঁও কেঁপে ওঠে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে। বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ছ’জন নিরীহ মানুষ, আহত হয়েছিলেন প্রায় শতাধিক। তারপরই তদন্তকারীদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সাধ্বী প্রজ্ঞা ও ভারতীয় সেনার কর্নেল পুরোহিত। ভারতে ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদ’ শাখা বিস্তার করছে এমনটাই অভিযোগ তুলেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement