মৈপিঠ নগেনাবাদে বেহাল জেটিঘাট সমস্যায় মৎস্যজীবী পরিবার

IMG-20250424-WA0214

সুন্দরবন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা কুলতলী ব্লকের মৈপিঠ কোষ্টাল থানার নগেনাবাদ এলাকা। বর্ষা নামলেই তো আর দূর্ভোগের শেষ থাকে না এই সমস্ত এলাকার মানুষজনের। সুন্দরবনের আজমলমারি জঙ্গল সংলগ্ন মাতলা নদী সংলগ্ন নগেনাবাদ গ্রামটি একশো শতাংশ মানুষজন মৎস্যজীবী যেখানে প্রতিনিয়ত সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দর্শনের সাথে সাথে নদীর প্রপাত জলোচ্ছ্বাস আর তাতেই কখনো বা নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে গ্রাম কখনো বা জেটিঘাট টি নড়বড়ে হয়ে পড়ছে।আর তারই পাশে নদী সংলগ্ন বাঁধ। নদীর পাশে বাস চিন্তা বারো মাস এমনই আতঙ্ক যাদের প্রতিনিয়ত কুরে কুরে খাচ্ছে সেই সমস্ত এলাকার মানুষদের সর্বদা (চিন্তা ভাবনা বছরের বর্ষাকালে একেবারেই নদীপ্রান্তে যাদের বসতবাড়ি তাদের ঘুম উড়ে যায়) প্রাকৃতিক বিপর্যয় তো লেগেই আছে আইলা আমফান বুলবুল ফোনির মতো প্রতিবছরে একটা না একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে। একটু ঝড়ো হাওয়া আর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ব্যাস তাতেই দফারফা। কখনো নদী বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।কখনো নদী পাশে থাকা এক চিলতে মাটির বাড়ি যা সংরক্ষণ করার মত অর্থ এই এলাকার অধিকাংশ মানুষদের নেই। কি করবে নুন আনতে পান্তা ফুরানো এই সমস্ত পরিবার যতক্ষণ নদীতে মাছ- কাঁকড়া ধরে ততক্ষণ চলে তাদের সংসার,বাকি সময়ে রেশনের বিনা পয়সায় চালের উপর ভরসা তাদের। ভরা কটালে সময়ে একটু ঝড়ো হাওয়া বইলে আর তাতেই সব শেষ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। বারে এলাকায় থাকা মাটির ঘরগুলো ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে আর এতেই সমস্যায় পড়ছেন মানুষজন। তাদের জীবন জীবিকার একমাত্র নদীতে নামার মাধ্যম যেটিঘাট আর সেটি দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থা। একাধিক দপ্তরে জানিয়ে হচ্ছে না কোন সুরাও প্রতিনিয়ত শত শত মৎস্যজীবী এই জেঠির উপর দিয়ে নদীতে তারা নৌকা নিয়ে যাতায়াত করে আর বেহাল জেটিঘাটের কারনে একাধিক ব্যক্তি বিপদগ্রস্ত হয়েছেন। দেলযান মুসলিমা মাসকুরা রাবিয়া আপ্তাব প্রবীর মিশ্র নারায়ন রুইদাস ও সিরাজ গাজীদের কথায় উঠে এলো বারে বারে এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলেও এখনো সুরাহা হচ্ছে না।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement