বিপাকে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা

IMG-20250421-WA0303

১লা এপ্রিল থেকে বনদপ্তর এর নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এখন থেকে তিন মাস কোনভাবেই নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরা যাবে না। কেবার মত নদী তীরবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীরা যাদের নদী কেন্দ্রিক জীবিকা, নদীর উপর তাদের রুজি রোজগার বাঁচন ও মরণ। এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর অসহায় হয়ে পড়েছে মৎস্যজীবীরা। এই মুহূর্তে তাদের করুণ দুর্দশার মধ্যে দিনযাপন করতে হচ্ছে। কখনো বা এক বেলা খাওয়া জুটছে কখনো বা তা জুটছে না। কিভাবে চলবে এই মুহূর্তে তাদের সংসার। একবেলা খেতে পেলেও অন্যবেলায় কি খাবে তার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। দীর্ঘ সময় যাবত অর্থাৎ পুরুষানুক্রমে এই পেশায় তারা নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরে-চলে তাদের জীবিকা নির্বাহ। আর এই তিন মাস নদীতে নামা নিষেধ, হওয়ায় বড় বিপদগ্রস্ত তারা। আর এই কথাবার্তা বলতে বলতে তাতে তারা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকা কুলতলির গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী অঞ্চলের পয়লা ঘেরির মৎস্য জীবী বাসন্তী দাস পূর্ণিমা দাস গৌরী চৌধুরী কানন সিং রোহিনী সিং দিলীপ সিং দের কথায় ছোটবেলা থেকে এই আমরা নদীতে মাছ টেংরা ধরে সংসার নির্বাহ করে আসছি, নদীর উপরে নির্ভরশীল আমরা। এই দেখছেন আমাদের এক চিলতে নদী বাঁধ সংলগ্নএলাকায় মাটির বাড়ি। তারপর প্রতিবছরের প্রাকৃতিক বিপর্যয় লেগেই আছে কখনো বা ঘর ছাড়তে হচ্ছে কখনো বা বসতবাড়ি থেকে অন্যত্রে চলে যেতে হয়েছে। গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গল প্রতিনিয়ত বাঘের গর্জন ও বাঘের আনাগোনা লেগেই আছে।এই জঙ্গলে জঙ্গল সংলগ্ন নদীতে আমরা মাছ কাঁকড়া ধরলে তবে চলে আমাদের সংসার কিন্তু এই মুহূর্তে নদীতে মাছধরা নিষেধ আর বনদপ্তরে এমনই নির্দেশিকা জারি হয় বিপাকে পড়েছি আমরা। নুন আনতে পান্তা ফুরানো আমাদের সংসার কিভাবে চলবেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমুদ্র সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ প্লাস ৫ হাজার টাকা করে যদি পেতাম তাহলে এই তিন মাস কোন ভাবে কষ্টে শিস্টে চলত সংসার কিন্তু গত বছর থেকে তা আর দেখা মেলা ভার। এই করুন পরিস্থিতিতে অসহায় পরিবারদের আর্তনাদ সরকার মানবিক হয়ে তাদের সহযোগিতা করুক। কারণ এক বেলা খাওয়া আরেক বেলা খাওয়া না জোটা পরিবারদের বিকল্প কর্মসংস্থান যতদিন না জুটবে ততদিন এভাবে চলবে। দেখা যাক এই সমস্ত পরিবারের পাশে সরকার মানবিক হবেন। এমনই আশা করছেন তারা।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement