বোর্ডের ছাড়পত্রের আগেই শাহরুখের দলে নায়ার

IMG-20250420-WA0374

আইপিএলের মাঝে বিতর্কে জড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাদের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভারতীয় দলের সহকারী কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দু’দিনের মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহকারী কোচ হয়েছেন অভিষেক নায়ার। জানা গিয়েছে, বোর্ডের ছাড়পত্রের আগেই পুরনো দলে যোগ দিয়েছেন তিনি। তবে কি বোর্ডের নিয়ম ভেঙেছে শাহরুখ খানের দল? ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের পর রাহুল দ্রাবিড়ের বদলে গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হন। তিনিই সঙ্গে নিয়ে যান নায়ারকে। তার আগে কেকেআরে একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। নায়ারের পাশাপাশি কেকেআরের আরও দুই সহকারী কোচ মর্নি মর্কেল ও রায়ান টেন দুশখাতেকেও নিয়ে যান গম্ভীর। তাঁদের চাকরি থেকেছে। কিন্তু নায়ারকে ছাঁটাই করা হয়েছে। পাশাপাশি বাদ পড়েছেন ভারতের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপও। এই দু’জনের চুক্তি আর বাড়ায়নি বিসিসিআই। গম্ভীর কোচ হওয়ার পর প্রথম ছ’মাসে বিশেষ সাফল্য পায়নি ভারতীয় দল। উল্টে ঘরের মাঠে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ়ে চুনকাম হতে হয়েছে। তার পর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সেখানে হেরেছে দল। প্রথম বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে পারেনি ভারত। এই ব্যর্থতার দায় তো কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ প্রত্যেকের। কিন্তু দায় নিতে হয়েছে নায়ারকে। যে হেতু এই সিরিজ়গুলিতে দলের ব্যাটিং ডুবিয়েছে ও নায়ার ব্যাটিং কোচ ছিলেন, তাই সব দায় তাঁর ঘাড়েই চেপেছে। তাই যদি হয় তা হলে তো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের কৃতিত্বও তাঁর পাওয়া উচিত। কিন্তু তা হয়নি। নায়ারকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কি তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছে? ভারতীয় বোর্ডের চাকরি যাওয়ার খবর বেরিয়েছে বৃহস্পতিবার। শনিবারই জানা যায়, নায়ার কেকেআরে যোগ দিয়েছেন। নিজের পুরনো পদে। অর্থাৎ, সহকারী কোচ হিসাবে। ২০১৮ সাল থেকে কেকেআরে ছিলেন নায়ার। প্রথমে মেন্টর। পরে সহকারী কোচ। গম্ভীরের দল তাঁকে ছাড়তেই শাহরুখ খান নিজের সংসারে ডেকে নিয়েছেন নায়ারকে। কেকেআরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব ভাল। কেকেআরের সিইও বেঙ্কি মাইসোরের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভাল। সেই কারণেই হয়তো সঙ্গে সঙ্গে নায়ারকে নিজেদের দলে ডেকে নিয়েছে কেকেআর। নায়ারকে বিসিসিআই ছাড়লেও এখনও কি তাঁকে ছাড়পত্র দেওযা হয়েছে? যত দূর জানা গিয়েছে, না। তা হলে কী ভাবে আইপিএলের দলে যোগ দিলেন তিনি। জানেন না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব দেবজিৎ শইকীয়াও। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, “খোঁজ নিতে হবে। আশা করছি, এক-দু’দিনের মধ্যে ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।” অর্থাৎ, ছবিটা এখনও পরিষ্কার নয়। তা হলে কি বোর্ডের নিয়ম ভেঙেছে নাইট রাইডার্স। প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি যে ভারতের কোচিং দল থেকে বাদ পড়বেন তা কি আগেই জানতেন নায়ার? নইলে কেন আগেই তাঁর সঙ্গে সমাজমাধ্যমে নিজের ছবি দেন কেকেআরের বরুণ চক্রবর্তী। তবে কি বোর্ড মৌখিক ভাবে তাঁকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল? তার পরেই কেকেআরের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছিলেন তিনি? নইলে এত কম সময়ে কী ভাবে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়? আরও একটি কথা শোনা যাচ্ছে। জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে ছাঁটাই করার পর কি বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে নায়ারকে? তবেই অন্য একটি দলের দায়িত্ব নিতে পারবেন তিনি? এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য পাওয়া যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, যে হেতু ভারতীয় দলের সহকারী কোচ হিসাবে মাত্র ১০ মাস কাজ করেছেন নায়ার, তাই কুলিং অফ পিরিয়ডের দরকার নেই। পুরো চুক্তি শেষ হলে হয়তো তার প্রয়োজন পড়ত।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement