পুরপ্রধানের ওয়ার্ডেই বে- আইনি পুকুর ভরাটের অভিযোগ

IMG-20250420-WA0356

হাওড়া: রাত যত গভীর হয় তখনই সারি সারি দিয়ে যাচ্ছে মাটি বোঝাই ড্যাম্পার। এই দৃশ্য এলাকাবাসীর প্রত্যহ রাতে দেখছে। এই মাটি আবার ফেলা হচ্ছে পুকুরে। রাতের আঁধারেই পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। হাওড়া গ্ৰামীণে উলুবেড়িয়া শহরে উলুবেড়িয়া পৌর প্রধানের ওয়ার্ডেই বে – আইনি ভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে ঐ পুকুরের মালিক সমীর সিংহ দাবি করে বলেন,” আমি পুর প্রধান কে জানিয়েই পুকুর ভরাট করছি।” অপর দিকে সেই দাবি নাকচ করে উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস বলেন,এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমরা পুকুর ভরাটের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুকুর ভরাট বন্ধ করে দিয়েছি। ওই পুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের ভূমি দপ্তরের আধিকারিক হিয়া গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনো অভিযোগ ও আসে নি। তবে অনুসন্ধান করে দেখা হবে।উলুবেড়িয়া পৌরসভার অন্তর্গত ২৭ নং ওয়ার্ডের গঙ্গারামপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ রাত এগারোটার পর থেকে পুকুরে মাটি ফেলা হচ্ছে। সারারাত ধরে ওই ‘ বে – আইনি কাজ চলছে। এলাকার এক বয়স্ক ব্যক্তি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ” এ ভাবে যদি একের পর এক এলাকার পুকুর ভরাট হয়ে যায়, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য তো নষ্ট হবে। বর্ষায় নিকাশি সমস্যা হবে। দিনের বেলায় পুকুর ভরাট হলে সবাই দেখতে পাবে, কাজে বাধা দেবে তাই মানুষজন রাতে ঘুমিয়ে পড়ার পর ওই অবৈধ কাজ করা হচ্ছে। এই অবৈধ কাজ প্রসঙ্গে সি পি এম নেতা তথা উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সাবির উদ্দিন মোল্লা বলেন, “আমরা বারে বারে বলছিলাম এই উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকায় বে – আইনি ভাবে পুকুর ভরাট ও অবৈধ নির্মাণ কাজ চলছে।শাসক দলের নেতা – নেত্রীদের মদতেই এই অবৈধ কাজ গুলি চলছে। খোদ চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডেই রাতের অন্ধকারে দিনের পর দিন পুকুর ভরাট হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, পুকুর ভরাটের পিছনে শাসকদলের নেতা – নেত্রীদের অর্থনৈতিক মোটা লেনদেন রয়েছে। পুকুর ভরাট বা বে – আইনি কোনো কাজে দলের নেতা – নেত্রীদের মদতের অভিযোগ কোনো ভাবেই মানেন নি উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভয় দাস।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement