মুম্বই: নায়িকার অভিনয়, সংলাপ অথবা চোখের অভিব্যক্তি নয়—দক্ষিণী ছবির বহু নির্মাতার কাছে নায়িকার নাভিই যেন সিনেমার ইউএসপি! দক্ষিণী ছবিতে অভিনেত্রীদের নাভি দেখানো নিয়ে যে বিশেষ রকমের আগ্রহ আছে, সেটা আর গোপন নয়। কিন্তু এবার তাঁদের এই ‘নাভি আসক্তি’ নিয়ে সরাসরি মুখ খুললেন অভিনেত্রী মালবিকা মোহনন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাখঢাক না রেখে মালবিকা বলেন, “আমি মুম্বইয়ে বড় হয়েছি, তাই শুরুতে এই ব্যাপারটা লক্ষ্য করে খুব অবাক হতাম। নাভি নিয়ে এত কিছু! প্রথমে তো বুঝতেই পারতাম না কেন! দক্ষিণে এটা একেবারেই ভীষণভাবে সত্যি।” তিনি আরও জানান, বহু ছবির পোস্টারে বা সোশ্যাল মিডিয়ার দক্ষিণী নায়িকাদের ছবিতে এমনভাবে নাভির ওপর ক্যামেরা জুম করে রাখা হয়, যেন সেইটাই মূল আকর্ষণ – “ছবিতে নায়িকাদের এমন ভাবে ফ্রেম করা হয়, ক্যামেরা এমনভাবে জুম করে যায়, যেন নাভি না দেখলে সিনেমা হিট হবে না!” নায়িকার শরীরে যত কার্ভ, কোমরে যত বাঁক আর তার মাঝে মুখ ঢেকে ফেলা সেই নিখুঁত নাভি—তার দিকেই ক্যামেরার লোভাতুর লেন্স।“অভিনয় নয়, মুখ নয়, চোখ নয়—এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকের কাছে মেয়ের নাভিটাই আসল ‘সেলিং পয়েন্ট’। এটা খুব রিয়েল!’’—বললেন মালবিকা। আরও জানান, তাঁর প্রথম অভিনীত ছবির সময়, যখন বয়স ছিল মাত্র ২১, তখন তাঁকে নিয়ে ট্রোলিং হয়েছিল প্রবল। “আমি তখন বেশ রোগপাতলা ছিলাম, আর আমাকে বলা হয়েছিল—‘হাড়ের ওপর চামড়া’, ‘গিয়ে একটু ওজন বাড়াও’, এমনকী আরও নীচু স্তরের অশালীন মন্তব্যও শুনতে হয়েছিল। এত ছোট বয়সে এইভাবে বডি শেমিং মানসিকভাবে কুরে কুরে খেয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে তাঁর শরীরে পরিবর্তন এসেছে, তিনি আরও ‘কার্ভি’ হয়েছেন—তবে সেই পুরনো ট্রোলিংয়ের ক্ষত এখনো রয়ে গেছে মনে। এখন মালবিকা ব্যস্ত একগুচ্ছ বড় প্রজেক্টে—প্রভাসের বিপরীতে তেলুগু ছবি দ্য রাজা সাব, কার্তির সঙ্গে তামিল ছবি সর্দার ২ এবং মালয়ালম ছবিতে হৃদয়পূর্বম-এ দেখা যাবে তাঁকে।তাঁর এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি নিঃসন্দেহে নারী শরীর নিয়ে সমাজের ‘ফোকাস’ এবং ‘অন্ধ মোহ ’-এর দিকগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে বলিউড-দক্ষিণ সব দর্শককেই।