ভাঙরের শোনপুরে এবার আক্রান্ত পুলিশ। নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন প্রতিবাদীরা। তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। কার্যত আক্রমণ করা হয়েছে পুলিশ আধিকারিকদের। সোমবার সকাল থেকে শোনপুর এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল পুলিশের পাঁচ পাঁচটি বাইকে। মিনাখাঁ, বাসন্তী, ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে আইএসএফ নেতা-কর্মীরা কলকাতা যাওয়ার জন্য রওনা দিলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে কার্যত রণক্ষেত্র তৈরী হয়। শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত আইএসএফ-এর যে মিছিল হওয়ার কথা, তার অনুমতি নেই বলে শুরুতেই আটকে দিয়েছিল পুলিশ। জানা গিয়েছে, বিক্ষুব্ধরা পাঁচ পাঁচটি পুলিশের বাইক আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ফলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শোনপুর এলাকা। ভাঙড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান জয়েন্ট সিপি। রাস্তার উপরে দাউ-দাউ করে জ্বলতে থাকে বাইকটি। শুধু তাই নয়, ভাঙচুর করা হয় পুলিশ ভ্যান। ইট বৃষ্টি চলতে থাকে পুলিশের উদ্দেশ্যে। এই পরিস্থিতিতে নওসাদ সিদ্দিকে জানানো হয়, অনুমতিপত্র দেখালে তবেই মিছিল এগোবে। এরপর কর্মী সমর্থকদের বার্তা দিয়ে তিনি জানান, দলের পতাকা না নিয়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে যেন তাঁরা মিছিল করেন।
তবে শুধু ভাঙড় নয়, ওয়াকফের প্রতিবাদে উত্তেজনা ছড়ায় মৌলালির রামলিলা ময়দানেও।এই ঘটনার দায় তৃণমূল চাপিয়েছে আইএসএফ-এর উপর। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।