প্রতীক্ষার অবসান। বাংলা নববর্ষে কালীঘাট স্কাইওয়াক উপহার পেল বাঙালি। সোমবার কালীঘাট মন্দিরের স্কাইওয়াক উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ লক্ষ ভক্ত কালীঘাটে ছুটে আসেন মা দক্ষিণা কালীর দর্শনে। সেই মন্দির পৌঁছতেই তৈরি করা হয়েছে আধুনিক স্কাইওয়াক। স্কাইওয়াক ব্যবহার করে সহজেই হেঁটে পৌঁছে যেতে পারবেন মায়ের মন্দিরে। তাই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হওয়াতে খুশি বাংলার মানুষ।
স্কাইওয়াক নির্মাণের উদ্যোগ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। ওই বছরই এই স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। প্রায় তিন বছর পরে ২০২২ সালে স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ শুরু হয় জোরকদমে। তবে মাঝে করোনা কালে নির্মাণ কাজ আটকে ছিল। দেড় বছরের মধ্যে স্কাইওয়াক নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও কিছুটা অতিরিক্ত সময় লাগে।
মেন রোড থেকে মন্দির পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ এই রাস্তা। চওড়ায় প্রায় ১০ মিটার। প্রাথমিকভাবে এটি নির্মাণের জন্য ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মোট ৯০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে স্কাইওয়াক নির্মাণে। স্কাইওয়াকটিতে রয়েছে মোট পাঁচটি প্রবেশদ্বার। এছাড়াও অত্যাধুনিক চলমান সিঁড়ি ও লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে। উল্লেখ্য, এই স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য রিফিউজি হকার্স কমিটির ব্যবসায়ীদের তুলে দিতে হয়েছিল। প্রথমে তাঁদের যতীন দাস পার্কে অস্থায়ী ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর সম্প্রতি কালীঘাটে নতুন এসি মার্কেট তৈরি করে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর দক্ষিণেশ্বরে রানি রাসমণি স্কাইওয়াক তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই স্কাইওয়াকের উদ্বোধনের দিনই মমতা কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। স্কাইওয়াকেরই উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।