কসবার ডিআই অফিস অভিযানে চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে ছিল বহিরাগতরাও, শুক্রবার দাবি করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানান, এই কর্মসূচি শিক্ষকদের ছিল। আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কেউই আশা করেননি সেখানে শিক্ষকরা পুলিশকে আক্রমণ করবেন।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বললেন, শিক্ষকদের কর্মসূচি ‘তালা লাগাও’, কিন্তু আদতে হয়েছে ভাঙা। দুটো সম্পূর্ণ পৃথক বিষয়।
পুলিশের দাবি, ১৩ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। সার্জেন্ট তন্ময় মণ্ডল তাঁকে রুবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পায়ে প্লাস্টার হয়েছিল। এসআই রিটন দাসের বুকে আঘাতের দাগ রয়েছে। মেডিক্যাল করানো হয়েছে। কেবলমাত্র চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্য়ে কিছু বহিরাগত ছিলেন। সেটা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে।
রূপেশ কুমার জানান, ১২টা ১১ মিনিটে দেখা যায় সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষকরা পৌঁছেছেন, ১২টা ১৮ মিনিটে প্রথম ব্যারিকেড ভাঙতে দেখা যায়। ১২টা ২৮ মিনিটে ‘এই তালাটাও ভেঙে দাও’ বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় এক বিক্ষোভকারীকে। ১২টা ৩০ মিনিটে নিগ্রহের শিকার হয় পুলিশ। তার আগে পুলিশ কোনও বল প্রয়োগ করেনি বলেও দাবি করেছেন তিনি।
মনোজ ভার্মা আরও বলেন, ‘পুলিশকে কেউ আঘাত করলে পুলিশ কিছু বলবে না, এটা হতে পারে না। তবে আমি আজও বলছি ওই অ্যাকশন (লাথি মারা) প্রত্যাশিত ছিল না। এই ঘটনার অনুসন্ধান চলছে। পুলিশের ভুল হতে পারে, রিপিট যাতে না হয় তার জন্য আলোচনা করি আমরা।’