চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে পথে তৃণমূল

IMG-20250407-WA0279

চাকরি বাতিল ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার সু্প্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর থেকেই শাসক-বিরোধী চাপানউতোর তুঙ্গে। এ্‌ই প্রেক্ষাপটেই চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে তৃণমূল।রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, বিজেপি এবং সিপিএমের ষড়যন্ত্রেই প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। আর সেই বিষয়টি হাতিয়ার করেই পথে নামছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সোমবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আগামী ৯ এপ্রিল বুধবার দলের ছাত্র-যুবরা কলকাতায় একটি প্রতিবাদ মিছিল করবেন। দুপুর ৩টেয় কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সেই মিছিল হবে। এর পর ১১ এপ্রিল শুক্রবার প্রতিবাদ মিছিল হবে জেলায় জেলায়। জেলার প্রতিটি ব্লক, ওয়ার্ড এবং টাউনে সেই মিছিল সংঘটিত হবে। বেলাগাম দুর্নীতি ও অসাংবিধানিক নিয়োগ বলে দাবি করে দিন কয়েক আগে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। সুপ্রিম কোর্ট এই রায় ঘোষণা করার পরই তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, গোটা ঘটনার নেপথ্যে থাকতে পারে বাম-রাম ষড়যন্ত্র। কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কাজ করছেন, তা বাধাপ্রাপ্ত করতেই বিরোধীরা চক্রান্ত করছে বলে দাবি ওঠে। নেতাজি ইন্ডোরের সমাবেশে সোমবারেও একই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম রায়ের নেপথ্যে খেলা চলছে কি না, সেই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এবার রাম-বাম চক্রান্তের প্রতিবাদে পথে নামতে চলেছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘আদালতের রায়ে আমার হৃদয় পাথর হয়ে যাচ্ছে। আমি লাল-নীল-গেরুয়া কোনও রং দেখব না। তাতে আমাকে ওরা জেলে ভরলে ভরুক। আমরা সব সময় চাই, কোনও যোগ্য ব্যক্তির চাকরি যেন না-যায়।’’ যোগ্যদের কারও চাকরি কেড়ে নিতে দেবেন না, চ্যালেঞ্জ করে জানান মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে। আমি বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।’’ যোগ্যদের জন্য বিকল্প বন্দোবস্তের কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁরা যোগ্য, তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। আমাদের কোনও রাখঢাক নেই। আইন অনুযায়ীই যা করার করব। পথের মধ্যে থেকেই পথ খুঁজে নিতে হবে।’’ কিন্তু বিকল্প কী ব্যবস্থা করবেন, তা এখনই খোলসা করতে চাননি মমতা। জানিয়েছেন, আগে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত আবেদন জানাবে। রায়ের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে শীর্ষ আদালতের থেকে। সেখানে সুরাহা না-মিললে বিকল্পের পথে হাঁটবে সরকার। মমতা বলেন, ‘‘আদালতের কাছে আমরা ব্যাখ্যা চাইব। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার আগে আমাদের জানতে হবে, যাঁরা স্কুলে পড়াতেন, তাঁদের জন্য আদালতের ব্যাখ্যা কী। স্কুল কে চালাবেন? বাকি কাজ কে চালাবেন? কাউকে না খাইয়ে মারার অধিকার তো কারও নেই। চাকরি দিতে পারবেন না, আমার অনুরোধ তাঁরা যেন চাকরি কেড়ে না নেন। তার পর শিক্ষা দফতর যা করার করবে।’’

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement