শুক্রবার সন্ধ্যায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে স্বস্তি দিল ঘরের মাঠে লখনউয়ের জয়। তবে ম্যাচ হারলেও এদিন ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জিতে নিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। ম্যাচ ছিল মুম্বইয়ের হাতের মুঠোয় কিন্ত দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। শেষ ওভারে নায়ক হয়ে উঠলেন আবেশ খান। ম্যাচে জেতার জন্য পরিশ্রমের কোনও খামতি রাখেননি হার্দিক। টস জিতে প্রথমে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠায়। ম্যাচে খেলতে পারেননি রোহিত শর্মা। নেটে অনুশীলনের সময় হাঁটুতে চোট পেয়ে বেরিয়ে যান তিনি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লখনৌ করে ২০৩ রান। বল হাতে মুম্বইয়ের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। একটি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, অশ্বনী কুমার, ভিগনেশ পুথুর। চাপের মুখে দুরন্ত ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতে আইপিএলে চমক দেখালেন হার্দিক পাণ্ডিয়া।
লখনউয়ের মাঠে রান তাড়া করে জেতা মানে রেকর্ড। ২০৪ রানের টার্গেট নিয়ে রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই মুখ থুবড়ে পড়ে। উইল জ্যাকস রোহিতের জায়গায় ওপেন করতে নেমে করেন মাত্র ৫ রান। রায়ান রিকেলটন করেন ১০। নমন ধীর একটা দাপুটে ইনিংস শুরু করলেও তিনি ২৪ রানে ৪৬ রানে আটকে যান। সূর্যকুমার যাদব নিজের চেনা ছন্দে খেলে ৪৩ বলে ৬৭ রান করেন। তিনি ফেরার পরেই রানের গতিটা কমে যায়।
লখনৌয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর, আকাশ দীপ, আবেশ খান, দিগ্বিজয় সিং রাঠি।
এদিন সূর্যকুমার যাদব যেভাবে জ্বলে উঠেছিলেন, তাতে একটা সময় জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন মুম্বই ভক্তরা কিন্তু শেষমেশ তেমনটা আর হল না। বোলারদের সৌজন্যে এ যাত্রায় মানরক্ষা হল লখনউয়ের। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এদিন প্রত্যাশিতভাবেই প্রত্যাবর্তন ঘটে বাংলার পেসার আকাশ দীপের। একটি উইকেট তুলে নেন তিনি।