সোমবার রাতে ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার বণিক পরিবারের সাত সদস্যের। তাঁদের মধ্যে রয়েছে দু’জন সদ্যজাত-সহ চার শিশু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এক জন। বংশ পরম্পরায় দীর্ঘ দিন ধরেই বাজি বানাত চন্দ্রকান্ত বণিকের পরিবার। বাজি তৈরির লাইসেন্সও ছিল বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ বাজি তৈরি হচ্ছিল। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা তা বন্ধ করতে কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলেছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি মঙ্গলবার বলেন, “যতবার বিস্ফোরণ হয় ততবার প্রশ্ন ওঠে বাজি না অন্য কিছু। নৈহাটিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। গঙ্গার অপর প্রান্তের হুগলির কাচ ভেঙে গিয়েছিল। আমি নিজে পিংলা গিয়েছি। বর্ধমান গিয়েছি। আমি এগরাতে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখেছি। শেষ পর্যন্ত কতজন গ্রেফতার হয়? কতজন সাজা পায়? কেউ জানে না। কোনও ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া নেই।”
একইসঙ্গে সোমবার রাতে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এবিষয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “ভোট আসছে। সরকার ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। সেই কারণেই বাজির নামে বোমার কারখানা চালাচ্ছে।”










