সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকা বিকট শব্দ শোনা যায়। তার কিছু ক্ষণ বাদে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান আগুনের গ্রাসে একটি বাড়ি। শুরু হয় হইচই। এলাকায় ঢুকেই শোনা যায় আর্তনাদ। বাড়ির উঠোনে বসে বাবাগো-মাগো বলে হাউ হাউ করে কাঁদছেন এক মহিলা। চিৎকার, হাহাকার এলাকাজুড়ে। সদ্য বিস্ফোরণে একটি বাড়ি কার্যত উড়ে গেছে। সোমবার রাতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। একসঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন গ্রামবাসী এবং পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানার ঘেরি এলাকার একটি বাড়িতে এই ঘটনায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তিন শিশুও। মনে করা হচ্ছে, ওই বাড়িতে বাজি তৈরি হচ্ছিল। বাজি বানাতে গিয়েই বিস্ফোরণ হয়।
স্থানীয়দের একাংশের অনুমান, বাড়িতে বাজি মজুত করা হয়েছিল। সেখান থেকে এই অগ্নিকাণ্ড। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাসন্তী পুজো উপলক্ষে ওই বাড়িতে বাজি তৈরি করা হচ্ছিল।
তৃণমূল বিধায়ক সমীরকুমার জানা জানান, ‘বাজি তৈরির সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। বাড়ির ভিতরে আরও কয়েকজন আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ঢোলাহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।’