ফের ওড়িশায় দুর্ঘটনার কবলে এক্সপ্রেস ট্রেন।লাইনচ্যুত হল কামাখ্যা এক্সপ্রেস। রবিবার বেঙ্গালুরু থেকে কামাখ্যার দিকে যাওয়ার পথে কটকের চৌদ্বারের কাছে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। অন্তত ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় বলে খবর। এই দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি যাত্রীদের ঘটনাস্থল থেকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়।কী কারণে আচমকা ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে অসমের কামাখ্যার উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রেনটি। দুপুর ১২টা নাগাদ ওড়িশার কটকে মাঙ্গুলি হল্টের কাছে চৌদার অঞ্চলে বিকট আওয়াজ শোনা যায়। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন। আতঙ্কে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে আসেন যাত্রীরা। দেখা যায়, দুর্ঘটনার জেরে ট্রেনের ১১টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে আপাতত ওই রুটের সমস্ত ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন রেল আধিকারিক ও পুলিশ। যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলিকে সরানোর চেষ্টা চলছে। জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের গতি কম ছিল, নাহলে প্রচুর প্রাণহানির ঘটনা ঘটত। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত যুবক বাংলার আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়েই পৌঁছন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। দুর্ঘটনার জেরে সংশ্লিষ্ট রুটের ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়। সূত্রের খবর, ট্রেনের গতি ধীর থাকায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।জানা গিয়েছে, কটক থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে চৌদ্বারের মঙ্গুলি হল্টের কাছে হঠাৎ প্রবল ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায় ট্রেনটি। হেলে পড়ে একাধিক কামরা। আতঙ্কে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন ট্রেনে যাত্রীরা। দরজা খুলে ঝাঁপও মারেন রেললাইনে। এর পরই দেখা যায় একাধিক কামরা লাইনের নীচে চলে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত বগির মধ্যে তিনটি জেনারেল কামরা। এ দিকে এই দুর্ঘটনার পর একাধিক এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। আমেদাবাদ-কটক এক্সপ্রেস, আমেদাবাদ-পুরী এক্সপ্রেস-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। এখনও টাটকা ওডিশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার ছবি। ২০২৩ সালের জুন মাসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল হাওড়ার শালিমার স্টেশন ছেড়ে যাওয়া চেন্নাইগামী ওই ট্রেন। বালেশ্বর স্টেশনের বাহানগায় কাছে ট্রেনটির স্লিপার ক্লাস, প্যান্ট্রি কার-সহ বেশ অনেকগুলি বগি বেলাইন হয়ে যায়। সেই দুঘটনায় ৩০০-এর কাছাকাছি প্রাণহানি হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন বহু।