“মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান…”
কখনও সম্পর্কের টানাপোড়েনে বস্তা বন্দি দেহ উদ্ধারের খবর শিরোনামে আসে আবার কখনো কাজের চাপে আইটি কর্মী ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। এর পিছনে কি লুকিয়ে থাকে গভীর মানসিক অবসাদ। অবসাদ থেকে মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা বেড়ে ওঠার পাশাপাশি আসে আত্মহননের প্রবণতা। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা উঠলে অবসাদ এবং উদ্বেগের মতো সমস্যার বিষয়ে পরামর্শ চিকিৎসকদের। উদ্বেগজনিত অসুস্থতা থেকে আসতে পারে এই অবসাদ। আবার অবসাদের কারণেও কিন্তু অনেকেই উদ্বিগ্নও হয়ে ওঠেন। এই বিষয়ে মনোবিদ ও চিকিৎসক ডাঃ টুটুল রায় বলেন, আগে আমরা মন খারাপ হলে ভাগ করে নেওয়ার যে জায়গাটা ছিল এখন সেই জায়গাটা ছোট হয়ে এসেছে। কারণ করোনা পরবর্তী সময়ে আমাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। চিকিৎসকের মতে আইটি কর্মীদের কাজের সময় ৯০ ঘন্টা অর্থাৎ তাঁদের যারা অফিসের উপরে আছেন তাঁরা কাজের সময়ের বাইরে মানসিক স্বাস্থ্যর কথা কেউ ভাবেন না। অনেক কর্মীরা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কিন্তু কাজের চাপে নিরুপায় হয়ে কেউ কারোর পাশে মানসিক সাহায্যের জন্য দাঁড়াতে পারছেন না। এদিকে সংস্থা গুলিও কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা না ভেবেই তাঁরা কাজের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। একজন কর্মীর মানসিক গুরুত্বর কথা ভাবছে না সেই সংস্থা ফলে অসহায়ভাবে ঝাঁপ দিচ্ছেন অবসাদ গ্রস্থ কোনো কর্মী।