মাওবাদী দমন অভিযানে ফের ছত্তিশগড়ে বড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে বিজাপুর এবং কাঁকের জেলায় দু’টি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২২ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাল্টা হামলায় নিরাপত্তাবাহিনীর এক জন সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও দুই। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলছে। ছত্তিশগড় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ বিজাপুর-দন্তেওয়াড়়া সীমানা লাগোয়া গঙ্গালুরের গভীর জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মাওবাদীদের। দীর্ঘ সময় ধর চলা গুলির লড়াইয়ে ১৮ জন নকাশালপন্থী নিহত হয়। এই অভিযানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশকর্মীর। অন্য দিকে কাঁকেরে আরও একটি অভিযানে নিহত হয় চার মাওবাদী। উভয় জায়গাতেই প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী।বিবৃতিতে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ছত্তিশগড় পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের যৌথ বাহিনী অভিযান চালায় বিজাপুর ও কাঁকের জেলায়। অপরেশন এখনও অব্যাহত রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি ১২ মাওবাদী নিকেশ হয় যৌথ বাহিনীর অভিযানে। ওই মাসেই আরও এক অভিযানে খতম হয় ২০ মাওবাদী। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিজাপুরে সিআরপিএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছিলেন। অন্যদিকে বছরের শুরু থেকেই ছত্তিশগড়ের একাধিক জায়গায় মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটছে। বিজাপুরের কুটরু রোডে আইডি বিস্ফোরণের মুখে পড়ে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের একটি গাড়ি। ওই গাড়িতে ছিলেন বেশ কয়েকজন ডিআরজি জওয়ান। ভয়ংকর বিস্ফোরণে ৯ জওয়ান শহিদ হন।গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা আন্তঃরাজ্য অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে দুশোর বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়রাম ওরফে চলপতি। আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ বিমলা। তাঁর স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।