কুলতলী: আইলা থেকে আম পান ভেঙে গিয়েছে বেশ কয়েক বার একাধিক নদী বাঁধ। নদীপাড়ে বাস চিন্তা বারো মাস সর্বদা মনের মাঝে আতঙ্ক নিয়ে দিনযাপন করতে হয় কাকলি নমিতা রহিমাদের মতো কয়েক হাজার বাসিন্দাদের। সাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে কুলতলির বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মন্ডল নদী বাঁধ ও সৌন্দর্যায়নের দাবি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর তারই সুফল পাওয়ার আশায় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শরীয়ত মণ্ডল সুজিত সাফুই গোপাল ঘোষ সুশান্ত মুখার্জীরা। প্রতিবছরই সুন্দরবনের লেগে থাকে একের পর এক দুর্যোগ কখন কী হয়, এই ভেবে। তবে এই সুন্দরবনের অন্যতম প্রবেশদ্বার কুলতলির কৈখালী। আর এই কৈখালি তে সারা বছর পর্যটকদের ভিড় থাকে। ধীরে ধীরে এই কৈখালী একটি পর্যটন কেন্দ্র বিন্দু গড়ে উঠছে। আর প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৈখালী ঘেষা নদী বাঁধের অবস্থা সংকট জনক হয়। আর তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল পর্যটক থেকে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারদের। এ নিয়ে বারবার স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থায়ী নদী তীরবর্তী রক্ষা বাঁধের। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে কৈখালীতে তৈরি হচ্ছে উন্নততর বাঁধের। দীর্ঘদিন বুকের মধ্যে পুষে রাখা স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাচ্ছে তাই উচ্ছ্বসিত পর্যটক থেকে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা। দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে স্বস্তি। কৈখালী নদী পাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁধ নির্মাণে কাজ চলছে। তবে বাঁধ নির্মাণে যেন কোনো অনিয়ম না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার দাবি স্থানীয়দের। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে, ওই সমস্ত এলাকার বাসিন্দারা খুবই আনন্দিত। এখন নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে কৈখালী স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে কৈখালী পর্যটক ব্যবসার সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার এর আগেও কংক্রিটের বাঁধ করার কথা ঘোষণা করেছিল। তবে কবে হবে সেই নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু যেভাবে একের পরে এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসতেই সমস্যায় পড়েন গ্রামবাসীরা। তবে এবার বড়সড় বিপদ হয়নি। তাই ভবিষ্যতে যাতে আর সমস্যা না হয়, তাই কংক্রিটের পাকা বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হল। এছাড়া সৌন্দর্যায়নের সুসজ্জিত রঙিন বাতি স্তম্ভ পর্যটকদের বসা ও প্রাকৃতিক দৃশ্য উপলব্ধি করার জন্য সুসজ্জিত বসার জায়গা কমিউনিটি টয়লেট এছাড়া একগুচ্ছ পরিষেবা মিলছে এখানে।