এবার যাদবপুরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুঙ্কার দিল বিজেপির ছাত্র যুব সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ অর্থাৎ এবিভিপি। সোমবার সন্ধেয় এবিভিপি ও এসএফআইয়ের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরে নৈরাজ্যের পরিস্থিতির অভিযোগ তুলল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। যাদবপুরের মতো প্রতিটি ক্যাম্পাসে একই অবস্থা’, তাই যাদবপুরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। সোমবারের পরিস্থিতি তুলে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এবিভিপির কার্যকর্তারা বলেন, সকালে পরীক্ষা থাকায় বিকেল ৪টেয় মিছিলের আয়োজন করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেমন শিক্ষামন্ত্রীর উপর হামলা কাম্য নয়, তেমন শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির তলায় ছাত্র পিষে যাওয়া এটাও কাম্য নয়। তাই জবাব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
একইসঙ্গে এদিন তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের আঁতাতের অভিযোগ তুলেছে এবিভিপি। সদস্যরা আরও বলেন, “বাম তৃণমূল ভাই ভাই, তলে তলে ফিশফ্রাই। যাদবপুরের ঘটনা নির্বাচনকে সামনে করে একেবারে বাম তৃণমূলের বাইনারি তৈরির চেষ্টা। ব্রাত্য বসুর উপর হামলায় ১৭ জনের মধ্যে ১ জন গ্রেফতার হয়েছে। আর এবিভিপির কর্মসূচিতে ৫ জন গ্রেফতার। এতেই সবটা প্রমাণিত।” এসএফআই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে বলেই কি তাদের সাহায্য করার চেষ্টা? এমন তুলেছে প্রশ্ন এবিভিপি।
তাঁদের দাবি, “নেশায় চুর, গাঁজায় চুর, যাদবপুর, যাদবপুর। মাদক গাঁজার চাষ চলছে। যে ভাষায় বোঝে, যাদবপুরকে সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে। যাদবপুরের মাটিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বামপন্থীদের হাতে থাকবে না। ১১ বছরে যাদবপুরের মাটিতে কিছু করল না কেন? ফিশফ্রাই সেটিং রয়েছে।”