কয়েক মাস পরই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তবে এই নির্বাচনে কংগ্রেসের রণনীতি নিয়ে চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে চলছে জোর চর্চা। জল্পনা চলছে, আগের দুটি বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবারও তারা বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কি না তা নিয়ে।নাকি ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে একাই ২৯৪টি আসনে লড়াই করতে চাইছে তারা। এমনই এক প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব জানাল, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি নভেম্বরের শেষ কিংবা ডিসেম্বরের শুরুতে আসবেন বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে। সঙ্গে এও জানা গেছে, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন।বাংলায় রাহুলের নির্বাচনী প্রচারে আসা নিয়ে বাংলায় এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর জানান, ‘আমরা জাতীয় দল। আর জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তো ১০০ শতাংশ আসবেই। বিহারের নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলায় আসবেন।’প্রসঙ্গত, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। তার ৩ দিন আগে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। বিহারে নির্বাচনের পর বাংলায় রাহুল নির্বাচনী প্রচারে আসতে পারেন।এরই রেশ টেনে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর এও জানান, ‘গত ৬ মাস ধরে আমরা পশ্চিমবঙ্গে গ্রাউন্ড তৈরি করছি। বুথ লেভেল পর্যন্ত আমরা টিম তৈরি করছি। তারপর রাহুল গান্ধি এসে আমাদের কর্মীদের মাধ্যমে বাংলার মানুষকে তাঁর কথা পৌঁছে দেবেন। বাংলার ইস্যুগুলি নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখবেন। তারপর ৬ মাস পর যখন ভোট হবে, তখন বাংলার মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন।’গুলাম আহমেদের এমন বক্তব্যের পর খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কবে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে আসতে পারেন রাহুল তা নিয়ে। এই প্রসঙ্গে গুলাম আহমেদ মীর জানান, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে নতুন বছরের আগেই রাহুল গান্ধি বাংলায় আসেন। তবে তা নির্ভর করছে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির উপর। আগে দলের জেলা, ব্লক, বুথ কমিটিকে মজবুত করতে হবে। যাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা রাজ্যের প্রত্যেক প্রান্তে পৌঁছয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি দলের এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ততদিনে বিহারেও নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে। তখন অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গে নজর দেবেন রাহুল গান্ধি।’শুধু রাহুল গান্ধি-ই নন, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ভূমিকা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। প্রসঙ্গত, বিহারে কংগ্রেসের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হয়ে কাজ করছেন অধীর রঞ্জন। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনেও বড় দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি। বিহারে নির্বাচন শেষ হলে বাংলায় রাহুল-অধীরের যৌথ কর্মসূচি দেখা যেতে পারে। অধীর রঞ্জন সম্পর্কে গুলাম আহমেদ মীর মনে করিয়ে দেন, ‘উনি বর্ষীয়ান নেতা। অনেক দায়িত্ব পালন করেছেন। উনি অনেক দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে শুভঙ্কর সরকারকে বসানো হয়। তবে অধীর চৌধুরী এখনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন।’