ইজ়রায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি, ট্রাম্পের প্রশংসায় নেতানিয়াহু

IMG-20251013-WA0131

গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে মরিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। দু’বছর ধরে চলা ইজ়রায়েল ও হামাস সংঘাতের অবসানে উদ্যোগী হয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর প্রস্তাব মেনে ইজরায়েল ও হামাস শান্তি চুক্তির প্রথম ধাপের বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সোমবার শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় মিশরে। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করল ইজরায়েল ও হামাস উভয়পক্ষ। সংঘর্ষবিরতির চুক্তি সই হওয়ার পর এই প্রথমবার পণবন্দিদের মুক্তি দেয় হামাস। ২০ জন ইজরায়েলি পণবন্দি ছিল হামাসের ডেরায়। সকলেই মুক্তি দিয়েছে প্যালেস্টানের সশস্ত্র গোষ্ঠী। দুই ধাপে বন্দি মুক্তি দিয়েছে হামাস। প্রথমে ৭ জন এবং পরে ১৩ জনকে মুক্ত করা হয়েছে। সকলেই ২ বছর পর হামাসের ডেরা থেকে ফিরলেন ইজরায়েলে ফিরলেন।  ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তির পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেয়  ইজ়রায়েল। সোমবার  ইজ়রায়েলে পৌঁছোন ট্রাম্প।  সোমবারই তাদের হেফাজতে থাকা সব ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দেয় প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। অন্য দিকে, বন্দি বিনিময়ের শর্ত হিসাবে ইজ়রায়েলও তাদের জেলগুলিতে বন্দি থাকা প্রায় ২০০০ প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দিচ্ছে। সোমবার ইজ়রায়েলের আইনসভা ‘নেসেট’-এ যান ডোনাল্ড  ট্রাম্প। গাজ়ায় শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য ট্রাম্পের উদ্যোগের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন নেতানিয়াহু এবং আইনসভার স্পিকার আমির ওহানা। বিশ্বে ট্রাম্পের মতো আরও বলিষ্ঠ নেতার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান ওহানা। ট্রাম্প আইনসভায় উপস্থিত হতেই সব সদস্য উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। বক্তৃতা করতে উঠে গাজ়ায় শান্তিপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে স্বাগত জানান ট্রাম্পও। বিষয়টিকে ‘ঐতিহাসিক ভোর’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, “এখন আকাশ শান্ত। বন্দুকের আওয়াজ থেমে গিয়েছে। পবিত্র ভূমিতে শান্তি এসেছে।” নিজের বক্তৃতায় ট্রাম্পের প্রশংসা করে নেতানিয়াহু জানান, আগামী বছর যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন, সে কারণে গোটা বিশ্বের কাছে আবদেন জানাবে ইজ়রায়েল। একই সঙ্গে ইজ়রায়েলের সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন। শান্তিপ্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতে সোনার পায়রা তুলে দেন নেতানিয়াহু।

ইজ়রায়েলের আইনসভায় হামাসের হাতে বন্দি ইজ়রায়েলিদের আত্মীয় এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেন নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প। পণবন্দিদের মুক্তির খবর আসতেই কার্যত উৎসবে মেতে ওঠেন ইজরায়েলি আমজনতা। প্রতি মুহূর্তের খবর সম্প্রচার করতে ইজরায়েলের পথে পথে জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙানো হয়েছে। সেখানে হাজারে হাজারে ইজরায়েলি মানুষ ভিড় করে খবর দেখছেন। পণবন্দিদের মুক্তির খবরে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন তাঁরা।প্রসঙ্গত, মিশরের শর্ম-আল-শেখ শহরের অনুষ্ঠিত হয় গাজা শান্তি সম্মেলন। সভাপতিত্ব করে আমরিকা এবং মিশর। উপস্থিত ছিলেন ইজরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা-সহ ২০ টির বেশি দেশের নেতারা।  এর মাঝেই খবর আসে, ২০ ইজরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক পণবন্দির জন্য নিজেদের হাতে লেখা চিঠি দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর স্ত্রী সারা। তাতে লেখা, ‘ইজরায়েলের প্রত্যেক মানুষের তরফ থেকে আমরা তোমাদের স্বাগত জানাই। বহুদিন ধরে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করেছি।’ এছাড়াও প্রত্যেক পণবন্দিকে উপহার হিসাবে জামাকাপড়, ল্যাপটপ, ফোন, ট্যাবলেট দেওয়া হবে। তাঁদের বাড়ি ফেরার পথে ইজরায়েলের জাতীয় পতাকাও লাগানো হয়।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement